নিজস্ব প্রতিবেদন : শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় (Siliguri Uttar Kanya) সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক (Administrator Meeting) চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে (Hari Krishna Dwibedi) নির্দেশ দেন, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার বিষয়টি দেখার জন্য। এদিন তার নির্দেশেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ওই দিন থেকেই রাজ্যে পুনরায় খুলতে চলেছে স্কুলের (School) দরজা।
যদিও পরে সোমবার বিকাল বেলায় নবান্ন (Nabanna) থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী ১৫ নভেম্বর স্কুল-কলেজ খোলার কথা জানালেও ওই দিন সরকারি ছুটি রয়েছে। তাই ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুলে যাবেন পড়ুয়ারা। তবে পুনরায় স্কুল খোলার এই খবর চাউর হতেই আমজনতার মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, প্রত্যেক শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্যই কি পুনরায় খুলছে স্কুলের দরজা?
না, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল খোলার কথা বললেও তারই সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হবে পঠন-পাঠন। একই সঙ্গে পঠন-পাঠন শুরু হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের। পরে ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে বাকি শ্রেণিগুলিও।
এর আগেও ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ পুনরায় খুলেছিল স্কুলের দরজা। সেবারও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয়েছিল পঠন-পাঠন। কিন্তু সেই স্কুলের পঠন পাঠন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। স্কুল খোলার কিছুদিন পরেই আছড়ে পড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ। যার পরেই নতুন করে বন্ধ করে দিতে হয় স্কুলের দরজা।
তবে সেই সময় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পুনরায় পঠন-পাঠন শুরু করা হলেও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন শুরু করা হয়নি। কিন্তু এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের পঠন-পাঠন পুনরায় শুরু করার পাশাপাশি পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের।