নিজস্ব প্রতিবেদন : গরমের ছুটি (Summer Vacation) কাটিয়ে কবে পুনরায় খুলবে সরকারি অথবা সরকার পোষিত রাজ্যের স্কুলগুলি তা নিয়েই এখন কৌতূহল রাজ্যের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। প্রথমদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছিল, ৩ জুন খুলতে পারে স্কুলের দরজা, কোন কোন সূত্রে জানা যাচ্ছিল ৮ জুনের মধ্যেই ফের স্কুলের দরজা খুলে যাবে। তবে এই সকল সমস্ত সূত্রের ভুল হয়ে গেল সোমবার। কেননা সোমবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের (Education Department of West Bengal) তরফ থেকে গরমের ছুটির পর পুনরায় স্কুল খোলার নতুন দিনের (School Reopen Date Extended) ঘোষণা করা হলো, যে ঘোষণায় গরমে ছুটি আরও বেড়ে গেল।
চলতি বছর রাজ্য জুড়ে হঠাৎ করে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ এপ্রিল মাসে এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যেক প্রাণীর জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তড়িঘড়ি স্কুল কলেজ সহ সরকারি সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই মতোই ২২ এপ্রিল থেকে পড়ে যায় গরমের ছুটি।
দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই ২২ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি পড়ে। যেখানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সূচি অনুযায়ী গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ৬ মে এবং পুনরায় স্কুল খোলার কথা ছিল ৩ জুন। এছাড়াও এই বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। তবে যেহেতু সূচি অনুযায়ী পুনরায় ৩ জুন স্কুল খোলার কথা ছিল তাই অনেকেই মনে করছিলেন ওই দিনই স্কুল খুলে যাবে। যদিও যে সকল স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে সেই সকল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছিলেন, তাদের স্কুলে পুনরায় পড়াশোনা স্বাভাবিক হতে জুন মাসের ৮ তারিখও লেগে যেতে পারে।
পুনরায় স্কুল খোলা নিয়ে এমন নানান জল্পনার মাঝে সোমবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, ৩ জুন থেকে পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হবে না। পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হবে আরও ৭ দিন পর অর্থাৎ ১০ জুন থেকে। তবে ৩ জুন থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। সোমবার এই বিষয়ে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
৩ জুনের বদলে ১০ জুন থেকে রাজ্যের প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও অন্যান্য পড়ুয়ারদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুনরায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হলো, গরমের ছুটিতে বিভিন্ন স্কুলে ভোটের কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুলে তৈরি করা হয়েছিল ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলগুলি এখন অগোছালো অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে ৩ জুন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীরা স্কুলে গিয়ে সবকিছু আগের মত গুছিয়ে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করবেন। আশা করা হচ্ছে ৯ জুনের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এবং ১০ জুন থেকে পুনরায় স্কুলে পঠন পাঠন শুরু হয়ে যাবে।