Superstitious Beliefs: বিড়াল রাস্তা কাটলে দাঁড়িয়ে যান, জানুন বৈজ্ঞানিক কারণ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Superstitious Beliefs: বাংলা সমাজে বহু প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা একটি কুসংস্কার হলো বিড়াল রাস্তা কাটলে থেমে দাঁড়ানো। বহু মানুষ এটিকে শুধুমাত্র কুসংস্কার (Superstitious Beliefs) বলে উড়িয়ে দিলেও, এর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ। আসুন, একটু গভীরে গিয়ে এই ঐতিহ্যটির বাস্তবতা খুঁজে দেখি।

Advertisements

প্রথমেই ফিরে যাই সেই পুরোনো দিনের দিকে, যখন গরুর গাড়ি ছিল প্রধান যানবাহন। সেসময়ে যদি কোনো বিড়াল গরুর গাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যেত, গরুগুলো ভীত হয়ে পড়ত এবং অস্থির আচরণ করত। তাদের শান্ত করতে চালক বাধ্য হতেন গাড়ি থামাতে। কিছুক্ষণ থেমে থাকলেই গরুরা আবার শান্ত হয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলা শুরু করত। সেই থেকে এই রীতি তৈরি হয় যে, কোনো প্রাণী বিশেষ করে বিড়াল রাস্তা পার করলে, আমাদেরও কিছুক্ষণের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। আজকের দিনে এই প্রথা যদিও অনেকের কাছে কুসংস্কারের (Superstitious Beliefs) মতো শোনায়, কিন্তু এর ভিত্তি ছিল সম্পূর্ণ বাস্তব।

Advertisements

এছাড়াও, আরও একটি বৈজ্ঞানিক যুক্তি এখানে কাজ করে। বিড়াল জাতীয় প্রাণীগুলি সাধারণত তাদের শিকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য দ্রুত চলাফেরা করে। কোনো মানুষ বা বড় প্রাণী যদি তাদের দিকে এগিয়ে আসে, তখন তারা আতঙ্কিত হয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে যায়। ফলে যখন বিড়াল রাস্তা পার করে, তারা দ্রুত চলে যায় এবং সেই মুহূর্তে আমাদের সরাসরি চললে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা থাকে। একটু থেমে গেলে, এই ধাক্কা লাগার ঝুঁকি কমে যায়। এটি শুধু রাস্তা পারাপারের জন্য নয়, সামগ্রিকভাবে সড়ক নিরাপত্তার দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

Advertisements

আরো পড়ুন: রাম সেতুর রহস্য ভেদ! উদ্ধার করল ISRO

এখানেই শেষ নয়। গবেষকরা আরও মনে করেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকে এমন আচরণ পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটি উপায় ছিল। মানুষ প্রকৃতির বিভিন্ন লক্ষণ দেখে সিদ্ধান্ত নিত এবং সেগুলি অনুসরণ করত। তাই বিড়াল রাস্তা পার করলে থেমে যাওয়ার এই আচরণও আসলে আমাদের বিবর্তনের একটি অংশ, যা নিরাপত্তা ও সচেতনতার সাথে সম্পর্কিত।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, এটি শুধুমাত্র কুসংস্কার নয়। বরং এর সাথে মিশে আছে বৈজ্ঞানিক ও নিরাপত্তাজনিত বাস্তব কারণ। তাই, পরবর্তীতে যদি কোনো বিড়াল আপনার রাস্তা কাটে, শুধু কুসংস্কারের (Superstitious Beliefs) কথা ভেবে থেমে যাবেন না। বরং এর পিছনে থাকা বিজ্ঞান এবং যুক্তিসঙ্গত কারণগুলিকে সম্মান জানিয়ে একটু অপেক্ষা করুন। এতে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং একইসঙ্গে ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত হয়ে আপনার অভিজ্ঞতাও হবে অন্যরকম।

Advertisements