Sealand: লাখও নয়, কোটিও নয়! এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ২৭

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Sealand is the smallest country in the world: সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। কিন্তু সাধারণ জ্ঞানের পরিধি এতটাই বিস্তৃত যে আমাদের পক্ষে এই পৃথিবীর সমস্ত কিছু সম্পর্কে ধারণা লাভ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা জেনারেল নলেজ বা সাধারণ জ্ঞানকে তাদের দৈনন্দিন চর্চার একটি অঙ্গ হিসাবে গ্রহণ করেন। বিভিন্ন ধরনের সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত বই পড়ে, টেলিভিশনের সাহায্যে পাওয়া সংবাদপত্রের বিভিন্ন তথ্যের সাহায্যে দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবর জেনে নিজের অজানা জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তার করার চেষ্টা করেন বহু মানুষ।

Advertisements

আমাদের এই বিশ্বে দেশের সংখ্যা প্রচুর। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী বা বিভিন্ন অজানা তথ্য আমাদের সবসময় খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ, বৃহত্তম দেশ ইত্যাদি অতি সাধারণ তথ্য গুলি আমরা সংগ্রহ করে রাখি। তাই বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ কোনটি এই সম্পর্কিত প্রশ্ন করলে অনেকেই উত্তর দেবেন যে বিশ্বের সবথেকে ছোট দেশ হল ভ্যাটিকান সিটি। কিন্তু আপনি কি জানেন ভৌগোলিক পর্যবেক্ষণ বলছে ভ্যাটিকান সিটির থেকেও আরো একটি ছোট দেশ আমাদের এই পৃথিবীর বুকে অবস্থান করছে। জেনে অবাক হচ্ছেন তো? আজ এই সব থেকে ছোট দেশটির সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানাবো এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

Advertisements

জানা যায় পৃথিবীর সবথেকে ছোট এই দেশের নাম হল ‘প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড’। সংক্ষেপে এই দেশটিকে বলা হয় সিল্যান্ড (Sealand)। ইংল্যান্ডের সমুদ্রতীর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এই সিল্যান্ড। এই দেশটিকে আবার মাইক্রো নেশন বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই দেশের আয়তন মাত্র ৫৫০ স্কোয়ার মিটার।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Motovolt M7: ৯৯৯ টাকা দিলেই হাতে হাতে মিলবে নতুন E Scooter, রঙ আর ফিচারে পাগল হয়ে যাবেন

ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই দেশের নিজস্ব পতাকা, রাজধানী, পাসপোর্ট, মুদ্রা, রাজা, রানী, জনগণ সব কিছুই রয়েছে। এই দেশের মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। শুধুমাত্র এই দেশের অভ্যন্তরে ছাড়া বাইরের আর কোনো দেশে এই মুদ্রা চলে না। এই দেশে ভাষা হল ইংরেজি। আর এদেশের (Sealand) জনসংখ্যা কত তা জানলে স্বাভাবিক ভাবে অবাক হতেই হয়। কারণ এই দেশের জনসংখ্যা হল মাত্র ২৭ জন।

এই দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় এটি আসলে ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। জার্মান সেনার প্রতিরোধকে রুখতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটি বানিয়েছিল। পরবর্তীকালে এটি পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা যায় ১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাডাজ রায় বেটস এবং তার পরিবার এই জায়গাটির স্বত্বাধিকার গ্রহণ করেন। তারাই এই স্থানটিকে মাইক্রো রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেন।

Advertisements