নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর লকডাউন জারি হতে স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহনের অন্যতম মাধ্যম রেল পরিষেবা। দীর্ঘ মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকে দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর মে মাস থেকে শুরু হয় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন এবং হাতেগোনা কতকগুলি স্পেশাল ট্রেন। আর এমত অবস্থায় দেশের বেশিরভাগ মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করার জন্য লোকাল ট্রেন এবং আরও বেশি ট্রেনের দাবি তুলছেন। যদিও কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে লোকাল ট্রেনের চলাচলে এবং অন্যান্য ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে এখনও কোন সম্মতি দেয়নি। তবে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে।
আর স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আরও একটি সুখবর এসে পৌঁছেছে বাঙ্গালীদের সামনে ঠিক পুজোর মরশুমের আগে। পুজোর সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে পুরী পর্যন্ত যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিয়ালদাহ থেকে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত চলাচলকারী স্পেশাল ট্রেনের গতিপথ বাড়ানোর বিষয়ে। এখন থেকে এই স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদাহ থেকে পুরী পর্যন্ত যাবে এবং পুরী থেকে শিয়ালদাহ ফেরত আসবে। আর এই পরিষেবা চালু হচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসের ২ তারিখ থেকে। ওই দিন থেকে চালু হওয়ার পর আপাতত সপ্তাহে দুদিন শিয়ালদাহ পুরী স্পেশাল চলবে।
এর পাশাপাশি আরও একটি সুখবর টিকিট কাউন্টার নিয়ে। যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে আগামী অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে হাওড়া ডিভিশনের সমস্ত রিজার্ভেশন কাউন্টার খুলে দেওয়া হচ্ছে। আর এপ্রসঙ্গে হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানিয়েছেন, দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে টিকিটের চাহিদা বাড়তে থাকায় এই সকল কাউন্টারগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিয়ালদা পুরী স্পেশাল ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসের ২ তারিখ থেকে এই ট্রেন চালু হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহের সোমবার এবং শুক্রবার রাত্রি আটটার সময় শিয়ালদহ স্টেশন থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ট্রেনটি। ট্রেনটি পুরী পৌঁছাবে পরদিন ভোর ৪:৩৫ মিনিটে। আর এই ট্রেনের ভাড়া হবে রাজধানী এক্সপ্রেসের মত।