নিজস্ব প্রতিবেদন : শিয়ালদা ডিভিশনের সমস্ত লোকাল ট্রেনে (Local Train) উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অফিস টাইম ছাড়াও প্রায় সব সময়ই এই সকল লোকাল ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের রীতিমতো ঠাসাঠাসি, বাদুর ঝোলার মতো ঝুলে ঝুলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতে হয়। আর এই পরিস্থিতি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করতে রেলের তরফ থেকে ১২ কোচের লোকাল ট্রেন (Sealdah 12 Coaches Local Train) চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে শিয়ালদা ডিভিশনে যে সকল লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে সেই সকল লোকাল ট্রেনগুলিতে ৯টি করে কোচ রয়েছে। রেলের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে এই সকল লোকাল ট্রেনের কোচের সংখ্যা ১২ করা হলে যাত্রীরা অনেক স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চালাবো বললেই তো আর হয় না, এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। রেলের তরফ থেকে সেই ব্যবস্থা করার জন্যই ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্মের সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
রেলের তরফ থেকে ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্মের সম্প্রসারণ করার কাজ জুন মাসের মধ্যেই শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। কিন্তু ভোটের কারণে সেই লক্ষ্যমাত্রায় কিছুটা হলেও সংশয় দেখা দিয়েছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, শিয়ালদা ডিভিশনের যাত্রীদের ১২ কোচের লোকাল ট্রেনের জন্য আরও কিছুদিন বেশি অপেক্ষা করতে হবে। মূলত ভোটের সময় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভোট কর্মী ও অন্যান্যদের অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রি-নন ইন্টারলকিংয়ের যে কাজ শুরু করার কথা ছিল তা ভোটের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। এমনকি এই কাজ ফের কবে শুরু করা হবে তা সম্পর্কে এখনই স্পষ্ট করে রেলের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। শিয়ালদা রেল স্টেশনে প্রি-নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার রাত থেকে। আর এই কাজের জন্য প্রয়োজন ছিল মেগা ব্লক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই কাজ শুরু করা হয়নি বলে জানিয়েছে শিয়ালদা শাখার বিদ্যুৎ ও সিগন্যাল বিভাগ।
রেলের তরফ থেকে ৪৮ ঘন্টার মেগা ব্লক নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে প্রচুর লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল রাখতে হতো। ভোটের মরশুমে এই মেগা ব্লক করা হলে বহু যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হবে আর এই অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই তা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর রেলের তরফ থেকে শান্তিতে এই সকল কাজ করা হবে। তবে রেলের এখনো লক্ষ্য রয়েছে জুন মাসের মধ্যেই সমস্ত কাজ সেরে ফেলার।