Sealdah to Esplanade Metro: তিলোত্তমা নগরীর পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো মেট্রো। সারা শহরে শিরা উপশিরার মতো ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা মেট্রো। কলকাতার মেট্রোর জন্যই খুব সহজেই শহরের যে কোন প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই কারণেই ‘ডেডলাইন’-র মাসপাঁচেক আগে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা শুরু করার দাবি করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আগামী বছর পুজোয় পুরো ১৬.৬ কিলোমিটার অংশে পরিষেবা চালু করার যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল তা হয়তো শুরু হয়ে যেতে পারে আগামী মে মাসের মধ্যেই।
পরিষেবা চালু করার জন্য এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদা (Sealdah to Esplanade Metro) পর্যন্ত অংশে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে পরিষেবা কাটছাঁট করা হয়েছে। মেট্রো চলছে হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত। রিপোর্ট মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ করার জন্য প্রয়োজন ছিল পাওয়ার ব্লকের। পশ্চিমমুখী সুরঙ্গ দিয়ে পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে না।
আরো পড়ুন: ‘অমৃত ভারত ট্রেন’ খুব তাড়াতাড়ি চালু হচ্ছে এই রুটে, সুবিধা পাবে যাত্রীরা
সূত্র মারফত আরো জানা যাচ্ছে যে, এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দানের মধ্যে পরিষেবার জন্য এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদা (Sealdah to Esplanade Metro) অংশ দিয়ে সল্টলেক ডিপোয় মেট্রো পাঠানো হয়। পূর্বমুখী সুরঙ্গ দিয়েই আগে মেট্রো চলাচল করছিল। ফলে ওই অসমাপ্ত ২.৫ কিমি অংশে কাজের জন্য যে যে সামগ্রী বা উপকরণ, তা সরিয়ে ফেলতে হত। এর ফলে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছিল।
আরো পড়ুন: আগামী বছর ভারতীয় রেলে আসছে ধামাকা, চালু হতে চলেছে প্রায় দশটি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন
যাতে সমস্যার সমাধান করা যায় সেই কারণে বহুদিন ধরেই ঠিকাদার সংস্থার তরফে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানানো হচ্ছিল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত মাস থেকে ১৫ দিন ধরে সুড়ঙ্গ দিয়ে রেক নিয়ে যাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কাজের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বহু অতিরিক্ত সময়। আপাতত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো চালানোর জন্য চারটি রেক হাতে রেখে দেওয়া হয়েছে।
যা খবর পাওয়া গেছে তাতে হয়তো চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদার (Sealdah to Esplanade Metro) মধ্যবর্তী ২.৫ কিমি অংশের পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ শেষ করে দেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ এর কাজ আগামী বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপর বৈদ্যুতিক, সিগন্যালিং কাজ চলবে। যদি সমস্ত সমস্যার সমাধান হয় তাহলে আশা করা যাচ্ছে যে মার্চেই এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদা অংশ পরিদর্শনে আসতে পারেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)।