Search for New Ferry Route in Howrah to reduce the number after passengers: বর্তমানে ভারতের মধ্যে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে কলকাতায়। পরিবহন ব্যবস্থায় এ যেন এক যুগান্তকারী ঘটনা। কয়েক মাস হল হুগলির তলদেশ দিয়ে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে । বেশ কয়েক দিনের মধ্যেই যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলেছে এই পরিবহন ব্যবস্থা। যাত্রীসংখ্যা প্রতিদিনই বেরিয়ে চলেছে। কিন্তু অপরদিকে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে হাওড়ার অটো-বাস রুটে। পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছে জলপথ পরিবহণ সংস্থাও। যাত্রী বাড়ানোর জন্য ফেরি পারাপারে এবার নয়া পরিকল্পনা নিচ্ছে জলপথ পরিবহণ সমিতি (Howrah New Ferry Route)।
নয়া মেট্রোপরিবহন ব্যবস্থা চালু হওয়ার জন্য বাস-অটো রুটে সমস্যায় পড়তে হয়েছে চালক এবং গাড়ির মালিকদের। এমনকি এই পরিবহন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকেও ফেরার পথে অটো রুটেও কোন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। শিবপুর হোক কিংবা সালকিয়া, যাত্রীরা হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে বেশিরভাগই চলে যাচ্ছে হাওড়া ময়দানে। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অটো চালকরা। ধর্মতলা থেকে রামরাজাতলা পর্যন্ত বহু পুরনো ৫২ নম্বর বাস রুট বর্তমানে সমস্যায় পড়েছে। ফেরি সার্ভিস ব্যবস্থাও এর থেকে আলাদা নয়, এই সমস্যা থেকে বেরোনোর জন্য কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা (Howrah New Ferry Route)?
ফেরি সার্ভিস এর আয় বৃদ্ধি করার জন্য এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে হুগলি নদীতে নতুন কিছু রুটে লঞ্চ চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে জলপথ পরিবহন সংস্থা। যেদিন থেকে হাওড়া ময়দান মেট্রো চালু হয়েছে সেই দিন থেকেই যাত্রী সংখ্যা কমেছে। তাই নতুন উদ্যোগ জানালো ফেরি সার্ভিস কর্তৃপক্ষ (Howrah New Ferry Route)।
আরও পড়ুন ? East West Metro: বদলে গেল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সময়সূচী! এবার আরও সুবিধা পাবেন যাত্রীরা
নিত্যদিন বহু মানুষ লঞ্চের সাহায্যে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করে থাকে। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন ফেরি ঘাট থেকে বাবুঘাট, চাঁদপাল ঘাট, আর্মেনিয়ান, শোভা বাজার, বাগবাজার সহ কয়েকটি ঘাটে চালু আছে ফেরি সার্ভিস ব্যবস্থা। এটি অবশ্য হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির অধীনে। সংস্থাটি কয়েক দিন ধরেই নানারকম জটিলতার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়াতে আবার নতুন পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে এই সংস্থাতে।
হাওড়া ময়দান মেট্রো কিন্তু কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। মেট্রো চালু হওয়াতে লঞ্চ থেকে শুরু করে বাস এবং অটো যাত্রী সংখ্যা অনেকাংশই কমে গেছে। যার ফলে আয়ও কমে গেছে এইসব পরিবহন ব্যবস্থার। সেই কারণেই নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংস্থার নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান রাই চরণ মান্না। তার বক্তব্য অনুসারে, হাওড়া থেকে কাশিপুর রুটে লঞ্চে চালানো হবে।এই রুটের ডিমান্ড অনেকটাই বেশি। পণ্যবাহী লঞ্চ চালানোর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে। যার ফলে আয় অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় সাত কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছ থেকে। প্রাপ্ত টাকা থেকে উনিশটি লঞ্চ নতুন করে দ্রুত সারিয়ে ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রী সংখ্যা আগের থেকে চাঙ্গা হবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।