নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেশে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ চার চাকা গাড়ি বিক্রি হয়ে থাকে। এই সকল গাড়ির মধ্যে অনেক গাড়ি রয়েছে নতুন এবং অনেক গাড়ি রয়েছে পুরাতন। মানুষের পছন্দের ওপর নির্ভর করে নতুন পুরাতন গাড়ি বিক্রি হয়ে থাকে।
নতুন গাড়ি কেনার তুলনায় অনেকেই রয়েছেন যারা পুরাতন গাড়ি কিনতে পছন্দ করেন। পুরাতন গাড়ি কেনার প্রতি তাদের ঝোঁকের কারণ হলো, কম খরচে গাড়ি পাওয়া যায় এবং সেই গাড়ি পরে বিক্রি করার ইচ্ছা থাকলে খুব একটা লোকসানের সম্মুখীন হতে হয় না। যে কারণে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদা বাজারে অতুলনীয়। এছাড়াও করোনার সময় থেকেই অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি কিনে তাতে সফল করার দিকে ঝুঁকছেন। সেক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বহু মানুষেরই স্বপ্ন হলো ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার। সেক্ষেত্রে হাতে টাকা কম থাকলে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনায় হল ওই ব্যক্তির কাছে আদর্শ। নতুন গাড়ি কেনার জন্য অনেকের কাছেই পর্যাপ্ত টাকা থাকে না। সেক্ষেত্রে তারা ইএমআই মারফত গাড়ি কিনে থাকেন। কিন্তু তাতে প্রতি মাসে মাসে টাকা শোধ করতে হয় যা ওই ব্যক্তির মাথায় আলাদা চাপ সৃষ্টি করে। এইরকম পরিস্থিতিতে বেশি ঝুঁকি না নিয়ে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনা অনেক ভালো।
পুরাতন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে খরচের জায়গায় অনেক সুবিধা মিললেও রক্ষণাবেক্ষণের খরচের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক অসুবিধা রয়েছে। নতুন গাড়িতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক কম বহন করতে হয়। সেই জায়গায় পুরাতন গাড়ি কিনলে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক বেড়ে যায়। ন্যাচারাল ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে গাড়ির মাইলেজ থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেবা অনেক কম পাওয়া যায় পুরাতন অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িতে।
সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ক্ষেত্রে আগের মালিক ঠিকঠাক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করেছিলেন কিনা তা নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ এর প্রভাব পড়তে পারে গাড়ির উপর। এর পাশাপাশি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার সময় সমস্ত ধরনের নথিপত্র সঠিকভাবে দেখে নিতে হবে। অন্যটাই প্রতারণার মত ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।