নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমজনতার। মূলত সংক্রমণের মাত্রা মাত্রাতিরিক্ত থাকার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে সংক্রমণের মাত্রা মাত্রারিক্ত থাকলেও আশাব্যঞ্জক পরিসংখ্যান হচ্ছে মৃত্যুহার। মৃত্যুহার এক শতাংশের সামান্য বেশি।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আতঙ্ক বাড়িয়েছে ভাইরাসের নতুন অভিযোজন। যে কারণে অতি দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আশার আলো এটাই যে অতি দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। অর্থাৎ যে পরিসংখ্যান উঠে এসেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে এই করোনাভাইরাসের নতুন রূপ দ্রুত ছড়ালেও অতটা প্রাণঘাতী নয়। বর্তমানে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান অর্থাৎ ডিসচার্জ রেট ৯৮.৮৮ শতাংশ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো তাহলে এত মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে কিভাবে?
[aaroporuntag]
শতাংশের দিক দিয়ে বিচার করলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাণ হারানোর সংখ্যা অনেক কম। তবে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি দ্রুতগতিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও দেশের তিনটি হটস্পট মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ় এবং দিল্লিতে এপ্রিলের শেষের দিকে কিছুটা হলেও স্থিতাবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই তিন এলাকায় সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছানোর পরেই এই স্থিতাবস্থা।