See what happens when a CNG kit is installed on a scooter: টু হুইলারের জ্বালানি খরচ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে? ভাবছেন বিকল্প পথ কি? স্কুটারে (Honda Activa Jupiter) বসাতে পারেন CNG কিট, এতে খরচ অনেক কমবে এবং মাইলেজ পাবেন ৮০ কিলোমিটারের বেশি। কিলোমিটার প্রতি খরচ হবে ৭০ পয়সা। তবে আপনারা কোনো পেট্রোলের স্কুটারে পাবেন না এই সুবিধা, এমনকি যদি সার্ভিসিং করান তাও এত ভালো মাইলেজ এই অল্প টাকায় হবে না। একমাত্র CNG চালিত স্কুটারে এটা সম্ভব।
ক্রমবর্ধমান পেট্রোল দামে যখন মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত তখন মানুষ কোথাও খুঁজে বেড়াচ্ছে ইলেকট্রিক স্কুটার আবার কোথাও সিএনজি স্কুটার। কিন্তু বাজারে কি এইসব ধরনের স্কুটার পাওয়া যাবে? কোন সংস্থা বর্তমানে সিএনজি স্কুটার বিক্রি করে না। কিন্তু তাও কিভাবে মানুষ সিএনজি স্কুটার ব্যবহার করছেন? কারণ বেশিরভাগ মানুষই সিএনজি কিট নিজেদের স্কুটারে (Honda Activa Jupiter) বসিয়ে নিচ্ছেন।
সম্প্রতি দেশের সব জায়গাতেই পেট্রোলের দাম ১০০ র কোটা পার করেছে। এর উপর মাইলেজ খুব কম পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে ক্রেতারা খুবই হতাশ। কিন্তু বিভিন্ন স্কুটারে (Honda Activa Jupiter) সিএনজি কিট বসানোর সুবিধা আছে। বিভিন্ন সংস্থা তাদের স্কুটারে এই পরিষেবা চালু করেছে, তাই কম পয়সায় বেশি মাইলেজের সুবিধা নিতে পারবেন ক্রেতারা। জেনে নিতে হবে কোন কোন স্কুটারে এই পরিষেবা চালু আছে। Honda Activa, TVS Jupiter, Hero Maestro ইত্যাদি স্কুটারগুলিতে এই কিট বসাতে পারেন। তবে সম্প্রতি দিল্লি ভিত্তিক একটি সংস্থা নাম Lovato এই CNG কিট ইনস্টল করার পরিষেবা শুরু করেছে। যাতে খরচ হবে ১৮ হাজার টাকা।
বাইক আরোহীদের জন্য সুখবর, খরচ হওয়া এই টাকা এক বছরের মধ্যেই তারা উসুল করে নিতে পারবে। এছাড়াও স্কুটারটিতে (Honda Activa Jupiter) পেট্রোল এবং সিএনজি দুটো ভাবেই চালানো যাবে। তাই কখনো যদি দুর্ভাগ্যবশত গাড়ির পেট্রোল শেষ হয়ে যায় তাকে আর ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেতে হবে না। সিএনজি গ্যাসের দ্বারা আপনি আপনার গন্তব্যস্থলে সহজে পৌঁছে যেতে পারবেন। তথ্য অনুযায়ী বলা যেতে পারে যে, এই সিএনজি কিট বসাতে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা। আশ্চর্যের কথা হল, এই সংস্থা একটি সুইচ লাগিয়ে দেবে স্কুটারটিতে যাতে সহজেই আপনি মোড পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনার স্কুটারটিতে দুটি সিএনজি কিট ইনস্টল করা হবে যা কিনা ঢাকা থাকবে কালো রঙের প্লাস্টিক দিয়ে। আর এটির মেশিন কাজ করবে সিটের নিচের অংশ থেকে। এই সিএনজি কিটের ওজন হবে ১.২ কেজি। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে কিছু অসুবিধাও। আপনি রাস্তায় বেরিয়ে সিএনজি স্টেশন খুঁজে পাবেন না সহজে। এর জন্য হয়তো আপনাকে আপনার বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যেতে হবে কিংবা তারও বেশি। সিএনজি কিট বসালে আপনি হয়তো মাইলেজ বেশি পাবেন কিন্তু পিক আপ নিতে পারবেন না। এরফলে সমস্ত চাপ পড়বে ইঞ্জিনের উপর। এছাড়া এসবের খরচ শহর এবং সংস্থা অনুযায়ী ভিন্ন রকমের হবে।