Sehgal Hossain Wife: ৬ বছর স্কুলে পড়িয়ে ‘এত’ টাকার গয়না! সায়গালের স্ত্রীর ম্যাজিকে হতচকিত বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকের শিক্ষিকা হিসাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন সায়গাল হোসেনের স্ত্রী (Sehgal Hossain Wife) সোমাইয়া খন্দেকর ওরফে জুঁই (Somaiya Khandekar)। একজন প্রাথমিক শিক্ষিকা হলেও, বেতন আর পাঁচটা শিক্ষক-শিক্ষিকার মত হলেও সম্পত্তি নিরিখে কিন্তু তিনি সবাইকে টেক্কা দিচ্ছেন। বিশেষ করে ৬ বছর স্কুলে পড়ানোর পর তিনি যে পরিমাণ সোনা রুপোর গয়না করেছেন তা দেখে রীতিমত হতচিত খোদ বিচারক।

গরু পাচার মামলায় বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতে সায়গাল হোসেনের ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। এদিন শুনানির সময় সায়গাল হোসেনের থেকে কত টাকার সোনা এবং রুপোর গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই হিসাবের খতিয়ান সিবিআই আদালতে পেশ করে। সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে এই বাজেয়াপ্ত করা গয়নার পরিমাণের হিসাব দিলে বিচারক রীতিমতো হতচকিত হয়ে পড়েন।

সিবিআই আধিকারিকদের তরফ থেকে আদালতে পেশ করা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, সায়গাল হোসেনের ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু পরিমাণ সোনার গয়না ফেরত চাওয়া হয়েছে সায়গাল হোসেনের পরিবারের তরফ থেকে। সেই সকল সোনার গয়নার রশিদ রয়েছে আর বাকি কোন গয়নার রশিদ নেই। আবার সিবিআই দাবি করছে, রশিদ থাকলেও তার অধিকাংশ আবার ভুয়ো।

গয়না ফেরত চাওয়ার শুনানিতে সায়গাল হোসেনের আইনজীবীর তরফ থেকে জানানো হয়, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় পাস করে সায়গাল হোসেনের স্ত্রী চাকরি পেয়েছিলেন। তারপর দুজনের রোজগার থেকে এই বিপুল পরিমাণ গয়না কেনা হয়। আইনজীবীর এই কথা শুনে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কেউ চাকরি করে ৬ বছরে ৩৬ লক্ষ টাকার গয়না করতে পারেন?

শুনানির পর বিচারকের তরফ থেকে বাজেয়াপ্ত করা সম্পূর্ণ গয়না ফেরত দেওয়ার দাবি খারিজ করে দেন। পরিবর্তে কেবলমাত্র ৯০ হাজার টাকার কাছাকাছি গয়না ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। এর মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার টাকার সোনার গয়না এবং ১৭ হাজার টাকার রুপোর গয়না রয়েছে।