নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের দুর্দন্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা দীপক ঘোষকে খুন করে মূল অভিযুক্ত প্রায় দুই বছর ধরে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পুলিশের তরফ থেকে বারংবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালানো হলেও তার প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠেকিয়ে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে অবশেষে পুলিশের জালে দীপক ঘোষ খুনের মূল অভিযুক্ত শেখ এনাই।
খয়রাশোলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ ২০১৮ সালের ২১ শে অক্টোবর আক্রান্ত হন দুষ্কৃতীদের হাতে। পয়েন্ট জিরো পয়েন্ট থেকে তাকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। আর সেই নার্সিংহোমে পরদিন অর্থাৎ ২২ শে অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দীপক ঘোষ। ঘটনার পর ২৩ তারিখ মৃত দীপক ঘোষের স্ত্রী এই দুষ্কৃতী হামলা এবং খুনের ঘটনায় শেখ এনামুল ওরফে শেখ এনাই সহ আরও কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু তারপর থেকেই মূল অভিযুক্ত শেখ এনামুল পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
ঘটনার প্রায় দু’বছর পর গত ২১ শে সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন শেখ এনামুল। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয় জামুরিয়া থানার পুলিশের তরফ থেকে। একটি ডাকাতির ঘটনায় শেখ এনামুল গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান। এরপর ঘটনার কথা জানতে পেরে খয়রাশোল থানার পুলিশ গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর শোন অ্যারেস্টার আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শেখ এনামুলকে মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে আনা হয় এবং পুলিশের তরফ থেকে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয় তদন্তের জন্য ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের। বিচারক তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের আবেদন অনুযায়ী তদন্তের স্বার্থে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
দীপক ঘোষ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এই শেখ এনামুলের বাড়ি বীরভূমের কাঁকরতলা থানা অন্তর্গত সাহাপুর গ্রামে। এর আগেও এই অভিযুক্তকে ধরার জন্য পুলিশের তরফ থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই অভিযুক্ত বিভিন্ন ছলনায় পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
যদিও অবশেষে এই মূল অভিযুক্ত হাতে আসার পর নতুন করে দীপক ঘোষ খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে মারফৎ।