নিজস্ব প্রতিবেদন : চেন্নাইয়ের ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ করোনা টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন। আর এই অভিযোগের পাশাপাশি ওই ব্যক্তি সেরাম ইনস্টিটিউট সহ এই টিকার সাথে জড়িত অন্যান্য সংস্থাদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মামলা করেন। বলা হয় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা দিতে হবে এবং এই টিকার উৎপাদন ও বন্টন বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বলে দাবি করা হলেও সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ওই স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার সাথে টিকার কোন সম্পর্ক নেই। বরং সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে অভিযোগ করা হলো ওই স্বেচ্ছাসেবক নিজের অসুস্থতার গোপন করেছিলেন। এখন সংস্থার সুনাম বদনাম করা হচ্ছে। আর এই বদনাম করার পরিপেক্ষিতে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মামলা করতে চলেছেন তারা।
সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “সম্পূর্ণ অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া স্বেচ্ছাসেবীর অসুস্থতার জন্য সমবেদনা জানাই। কিন্তু এই অসুস্থতার সাথে টিকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে নিজের শারীরিক অসুস্থতাকে টিকার উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন।”
সংস্থার তরফ থেকে এটাও বলা হয়, “ওই স্বেচ্ছাসেবীর অসুস্থতার পর গঠন করা মেডিকেল টিম জানিয়ে দেয় ওই ব্যক্তির অসুস্থতার সাথে আর কোন সম্পর্ক নেই। তার পরেও তিনি প্রকাশ্যে এই অভিযোগ করে সংস্থার সুনাম বদনাম করতে চাইছেন। সংস্থার লোকসান করার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হচ্ছে ওই স্বেচ্ছাসেবীর বিরুদ্ধে।”