নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু নিজে খেয়েছেন এমন নয়, পাশাপাশি অন্যদেরও খাইয়েছেন! রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। আর এই নিয়েই বিরোধীদের দাবি, ভাগবাটোয়ারা করে খেয়েছেন। কেউ কেউ আবার অভিযোগ করছেন, পুরোটা নিজে খেতে পারবেন না ভেবেই এমন করেছেন মন্ত্রী মশাই।
এর আগে আমরা দেখেছিলাম রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) মামলায় উঠে এসেছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের নাম। ওই ব্যক্তির থেকেই জানা গিয়েছে, যেখানে যা করা হয়েছিল সবই মন্ত্রীমশাইয়ের নির্দেশে। এমনকি তিনি এও জানিয়েছিলেন, মন্ত্রী মশাই নির্দেশ দিলে কে তা করবেন না? ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল তার ক্ষেত্রেও। মন্ত্রী মশাইয়ের নির্দেশেই তিনি তার স্ত্রী এবং মাকে ভুয়ো দুই সংস্থার ডিরেক্টর বানিয়ে ছিলেন।
এই পুরাতন আপ্ত সহায়কের পর এবার আরও এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেল, যিনিও বালুর আশীর্বাদে আজ কোটিপতি। তিনি আর কেউ না, তিনি হলেন বালুর পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। ইনি আসলে বিহারের বাসিন্দা। তবে ১৯৯৩ সালে তিনি এসেছিলেন কলকাতায়। কলকাতায় এসে প্রথমে তিনি কলেজ স্ট্রিটে একটি সেলুন খুলেছিলেন।
যেখানে রামস্বরূপ শর্মা সেলুন চালাতেন ওই এলাকাতেই বাড়ি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। সেই সূত্রেই দুজনের পরিচয় এবং তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে ঘনিষ্ঠতা। সেলুন চালানোর পাশাপাশি রামস্বরূপ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারকের কাজের দায়িত্বও নেন। পরে আবার সরকারি চাকরিও পেয়েছিলেন। তবে এই সব কিছুই নাকি হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আশীর্বাদে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির ওই পরিচারক রামস্বরূপ জানিয়েছেন, কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননে যে ফ্ল্যাট তার রয়েছে সেটি কেনার জন্য মন্ত্রীমশাই তাকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, এর মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা শোধ করেছেন। তবে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের পরিচারকের নামে ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দানপত্র করিয়েছিলেন। অন্যদিকে আরেক ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ছাড়াও আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তিনি ওই পরিচারককে দানপত্র হিসাবে দিয়েছেন। একইভাবে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও বেশ কিছু সম্পত্তি বালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন। যাতে কোথাও কোনো বিষয় বেআইনি বলে প্রতিপন্ন না হয়।