বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ জিও, এয়ারটেল এবং ভিআই জুলাই মাস থেকে তাদের মোবাইল রিচার্জের দাম বৃদ্ধি করার পর বহু গ্রাহক রয়েছেন যারা ওই তিন টেলিকম সংস্থার উপর রীতিমত চটে রয়েছেন। শুধু চটে যাওয়া নয়, এর পাশাপাশি অনেকেই আবার নিজেদের নম্বর পোর্ট করে অথবা নতুন BSNL সিম কার্ড নিচ্ছেন। অনেকেই আবার এমনটা করছেন হুজুগে পড়ে। কিন্তু এমনটা করে পস্তাতে হতে পারে।
বিএসএনএল বর্তমানে তাদের BSNL 5G Ready সিম বিক্রি করা শুরু করেছে। বিএসএনএলের যে সকল অফিস রয়েছে সেই সকল অফিস ছাড়াও বিভিন্ন রিটেল কাউন্টারে এই সকল সিম পাওয়া যাচ্ছে। গত জুলাই মাসের প্রথম ১৫ দিন বিএসএনএল অন্ততপক্ষে ১৫ লক্ষ গ্রাহককে তাদের কানেকশন দিয়েছে। কিন্তু এমন বিপুল সংখ্যক কানেকশন দিলেও পরিষেবা নিয়ে কিন্তু বহু গ্রাহককেই পস্তাতে হচ্ছে।
রাগ করে বহু গ্রাহক রয়েছেন যারা জিও ও এয়ারটেল-এর মত টেলিকম সংস্থার পরিষেবা ছেড়ে BSNL এ নাম লিখিয়েছেন আর তাদের তারপরেই পস্তাতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বীরভূমের সিউড়ির একজন মোবাইল ব্যবহারকারী, যিনি খরচ বৃদ্ধির পর নিজের জিও নম্বর পোর্ট করেছিলেন বিএসএনএল-এ। পরিষেবা চালু হওয়ার পর তিনি দেখতে পান, বাড়ির ভিতরে নেটই চলছে না। পরে আবার বাধ্য হয়ে তিনি জিওর একটি নতুন সিম কার্ড নেন।
আরও পড়ুন : ১৯৮ টাকার জিও প্রিপেড প্ল্যানে আনলিমিটেড 5G, ভয়েস কলিং সহ আরও আকর্ষনীয় অফার
বিএসএনএল এখন দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও 4G পরিষেবা ধীরে ধীরে চালু করলেও সব জায়গায় চালু করতে সময় লাগবে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। অন্ততপক্ষে তাদের তরফ থেকেই এমনটা দাবি করা হচ্ছে। যে কারণে তারা BSNL 5G Ready সিম বিক্রি করলেও সেই সিমের আপাতত কোনো ভ্যালু নেই। কেননা এখনও পর্যন্ত তারা 4G পরিষেবায় পৌঁছে দিতে পারেনি সমস্ত এলাকায়, 5G পরিষেবা তো দূরস্ত।
অন্যদিকে স্পিড টেস্ট থেকে শুরু করে ভয়েস ক্লিয়ারিটি ও কোয়ালিটির বিচার বিবেচনা করলেও কিন্তু বিএসএনএল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ইন্টারনেট স্পিড স্থান বিশেষে BSNL-এর বিভিন্ন রকম, যা কিন্তু এয়ারটেল অথবা জিওর ক্ষেত্রে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না। আবার কথা বলার ক্ষেত্রে অর্থাৎ ভয়েস ক্লিয়ারলিটির ক্ষেত্রেও বিএসএনএল-এর বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায়, সস্তায় পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিএসএনএলের তুলনা না হলেও কিন্তু অন্যান্য পরিষেবার বিচারের বিএসএনএল এখনো অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। তারা চেষ্টা করছে BSNL 5G Ready সিম এনে প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার, তবে এখনো সেই জায়গায় না পৌঁছানোর কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন গ্রাহকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করতে হবে।