Higher Secondary Examination: উত্তরপত্রে কোন রকমের স্লোগান লিখলে খবর আছে, সোজা বাতিল হবে পরীক্ষা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Higher Secondary Examination: বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত। আর জি কর কাণ্ডের জন্য জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে প্রতিবাদ মিছিল এবং আন্দোলন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকেও বারবার ধিক্কার মিছিল বের করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার কোনরকম প্রভাব যাতে আগামী বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতে না পড়ে তার জন্য কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আজকের প্রতিবেদনে সেইটাই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

Advertisements

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (Higher Secondary Examination) তরফ থেকে আগামী বছরের পরীক্ষার আগেই বিশেষ কিছু বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হলো। পরীক্ষার খাতায় কোনরকম রাজনৈতিক স্লোগান তুলে ধরা যাবে না তাহলে বাতিল হতে পারে সেই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা। আর এই নয়া নির্দেশ থেকে মনে করা হচ্ছে, আর জি কর কাণ্ডের আবহে এ এক সতর্কবার্তা। সংসদ সভাপতি এ বিষয়ে দাবি করেছেন যে, এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়।

Advertisements

অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে উত্তরপত্রেই তাদের আবেগ উগরে দেওয়ার চেষ্টা করে। উত্তরপত্রের মধ্যে কোন রকম রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া যাবে না এমনটাই ঘোষণা করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ৩শে মার্চ এবং শেষ হবে ১৮ই মার্চ। এই প্রথম পরীক্ষা হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে।

Advertisements

আরো পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পছন্দের সাবজেক্ট নিতে নূন্যতম কত নম্বর লাগবে, নতুন সিলেবাস নিয়ে বিজ্ঞপ্তি সংসদের

শনিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকায় বিশেষ কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। কোনও পরীক্ষার্থী যদি খাতায় ভুল নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখে, কিংবা উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়ে অথবা অন্য পরীক্ষার্থীকে খাতা দিয়ে লিখতে সাহায্য করলে তার শাস্তি হবে। পাশাপাশি আরো বলা হয়েছে যে, পরীক্ষার (Higher Secondary Examination) হলে কোন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে যদি উত্তর সংক্রান্ত চিরকুট, টাকার নোট পাওয়া যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে। এই নির্দেশিকা আগেও জারি করা ছিল পরীক্ষার্থীদের জন্য। যদি কোন পরীক্ষার্থী তার পরীক্ষার খাতায় রাজনৈতিক স্লোগান কিংবা কোন অবান্তর মন্তব্য প্রকাশ করে তাহলেও তাকে শাস্তি পেতে হতে পারে। পরীক্ষা বাতিল পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই নির্দেশিকা জারি করার মূল কারণ হলো আর জি কর ঘটনা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের জন্য সুবিচার বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে। এমনকি বিভিন্ন স্কুলের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই আন্দোলন এবং প্রতিবাদের কোনরকম প্রভাব যাতে পরীক্ষাতে না পড়ে।

Advertisements