Ratan Tata Will: সোশ্যাল মিডিয়াতে দুজনের মিষ্টি মুহূর্ত অনেক ধরা পড়েছে। বয়সের শেষ পর্যায়ে এসে পোষ্য কুকুর এবং শান্তনুর সঙ্গ তিনি বেশি পছন্দ করতেন। রতন টাটার মৃত্যুর পর জানা গেল তার উইলে জায়গা পেয়েছে তাঁর ‘বন্ধু’ তথা ম্যানেজার শান্তনু নাইডু। জানলে অবাক হবেন তিনি মোট ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। এই বিপুল সম্পত্তির অংশীদার হতে চলেছেন রতনের দুই সৎ বোন শিরীন এবং ডিয়ানা জিজিভয়। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো রতন টাটার বাড়িতে কাজ করা বাটলার, এমনকি বিভিন্ন কর্মীরাও উইলে (Ratan Tata Will) কিছু না কিছু পেয়েছেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, রতন টাটার বাড়ির রাঁধুনি রাজন শ’য়ের ওপর দায়িত্ব পড়েছে তার পোষ্য টিটোর দেখভালের। এই কারণে রতন টাটার উইলে জায়গা পেয়েছে রাজনের নাম। পাশাপাশি রতন টাটার বাটলার সুব্বাইয়ার জন্যে কিছু রেখে গেছেন উইলে (Ratan Tata Will)। আর নিজের পোষ্য টিটোর দেখভালের জন্যেও অর্থ বরাদ্দ করে দিয়ে গিয়েছেন রতন টাটা। সবার জন্যই তিনি কিছু না কিছু রেখে গেছেন। তার সবথেকে কাছের বন্ধু এবং ম্যানেজার শান্তনুর জন্য কি আছে তার উইলে?
আরো পড়ুন: ব্যবসা করতে গেলে ঘুষ দিতে হবে মন্ত্রীকে, উত্তরে কি বলেছিলেন রতন টাটা
রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে যে, শান্তনু নাইডুর সংস্থা ‘গুডফেলো’-তে রতন টাটার অংশীদারিত্ব ছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি নিজের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিয়ে গিয়েছেন শান্তনুর জন্যেও। শান্তনুর জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া হল রতন টাটার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা এবং তার সঙ্গ। শান্তনু যে শিক্ষা ঋণ নিয়েছিলেন সেইটা মুকুব করে দিয়েছেন রতন টাটা। রতন টাটার ছায়াসঙ্গী হয়েছিলেন শান্তনু। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা হচ্ছে রতন টাটার উইলে (Ratan Tata Will) শান্তনু নাইডুর জন্য কিছু না কিছু অবশ্যই আছে।
আরো পড়ুন: পদে আসীন হয়েই আইনি পরামর্শ নিতে হচ্ছে নোয়েল টাটাকে, কি হলো তার
প্রয়াণের সময় রতন টাটার সম্পত্তির মধ্যে ছিল টাটা সন্সের ০.৮৩ শতাংশ অংশীদারিত্ব এবং সেই অংশীদারিত্ব তার মৃত্যুর পর চলে যাবে রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশনে। এই ফাউন্ডেশনটি নানারকম দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে ওলা, পেটিএম, লেন্সকার্ট, জিভামে, স্ন্যাপডিলের মতো স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছিলেন রতন টাটা। স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও অনুমান করা হচ্ছে শান্তনুর জন্য তিনি অবশ্যই কিছু রেখে গেছেন।
রতন টাটা যতদিন পর্যন্ত টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমেরিটাস পদে ছিলেন ততদিন নিজের বেতন হিসেবে নিতেন বছরে আড়াই কোটি টাকা। তার রেখে যাওয়ার সম্পত্তির মধ্যে সবথেকে অন্যতম হল ৩৫০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। পাশাপাশি রয়েছে আলিবাগে ২০০০ স্কোয়ারফুটের একটি বাংলো এবং মুম্বইয়ের জুহু তারা রোডে দু’তলা একটি বাড়ি। নিজের এইসব সম্পত্তি তিনি যাকে দিয়ে গেছেন তারা অবশ্যই কয়েক মাসের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেই পেয়ে যাবেন, এমনটাই আশা করছে বিশেষজ্ঞরা।