বিন্দুমাত্র ভয়ডর নেই! অনুব্রতর মুক্তিতেও বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেষ্টর বিরুদ্ধে মামলা করা শিবঠাকুর

Laltu Mukherjee

Published on:

Advertisements

লাল্টু : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় মামলা করেছিলেন তৃণমূলেরই শিব ঠাকুর মন্ডল। যে ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে বেশ কয়েকদিন দুবরাজপুর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকতে হয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে শিব ঠাকুরের সেই সময় অভিযোগ ছিল, তার টুঁটি চেপে ধরার। আর এবার সেই অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই ও ইডির গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে বীরভূমে ফিরছেন।

Advertisements

এমন একজন দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাকে থানায় ঢোকানো, আর সেই দাপুটে নেতার জামিনে মুক্তি অভিযোগকারীকে কিছুটা হলেও ভয়ডর তো দেবেই! কিন্তু শিব ঠাকুর এসবে ভয় পান না। তিনি এখন ভয়ডরহীন ভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিজের এলাকায়। আর তাকে যদি অনুব্রত মণ্ডলের জেল মুক্তিতে ভয়ডরের কথা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে তাহলে তিনি বলছেন, ওসব ভয়ডর তিনি পান না। একদিন তো মরতেই হবে।

Advertisements

তবে বিরোধীরা বারংবার বলছেন, অনুব্রত মণ্ডলের তিহার যাত্রা আটকানোর জন্যই ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এমন নাটকে অভিযোগ করেছিলেন শিব ঠাকুর মন্ডল। সুতরাং তার ভয় পাওয়ার তো কিছু নেই। বরং কেষ্ট এলে তার আরও প্রমোশন হবে। বিরোধীদের তরফ থেকে এমন অভিযোগ তখন থেকেই করা হয়েছিল যখন অর্থাৎ ২০২২ সালে যখন এমন ঘটনা ঘটে।

Advertisements

আরও পড়ুন : Vegetables Price: জলে থৈ থৈ বিঘার পর বিঘা জমি, যেসব শাকসবজিতে হাত দিতে গেলে ছ্যাকা লাগবে

এমন ঘটনার পর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে শিব ঠাকুর মন্ডলকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে তাকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হলেও উল্লেখযোগ্যভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রার্থী করা হয় শিব ঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা মন্ডলকে। যিনি আবার ভোটে জিতে প্রধান হন বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া থেকে শুরু করে প্রধানের আসনে বসানো, এসব তো ওই ঘটনারই পুরস্কার বলেও বারবার দাবি করছেন বিরোধীরা।

অন্যদিকে শিব ঠাকুর মন্ডলকে তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করলেও কিন্তু তিনি এখনো নিজেকে একজন তৃণমূল কর্মী হিসেবেই দাবি করে থাকেন। তবে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যাবর্তনের তার আনন্দও নেই, দুঃখও নেই। আবার তিনি তাকে ভয়ও পাচ্ছেন না, তিনি আগের মতোই বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়।

Advertisements