নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সাথে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তৃণমূলের। বারংবার তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একাংশের তরফ থেকে অধিকারী পরিবার সম্পর্কে ‘মীরজাফর’-এর মত নানান বিরূপ মন্তব্য শোনা যাচ্ছিল। এমনকি এই সকল বিরূপ মন্তব্য এসে পৌঁছে ছিল প্রকাশ্য জনসভায়।
যার পরেই স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছিল শিশির অধিকারী থেকে অধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে। এনিয়ে শিশির অধিকারী সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। আর এসবের পরের মঙ্গলবার শিশির অধিকারীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে নোটিফিকেশন জারি করে রাজ্য সরকার। এই নোটিফিকেশন সোমবার জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নবান্নের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যে নির্দেশিকা হলো দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পরিষদের সদস্যদের রদবদলের। যেখানে লক্ষ্য করা গেছে এই পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের প্রবীণ নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তার জায়গায় আনা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো বিশ্বস্ত বিধায়ক অখিল গিরিকে। ভাইস চেয়ারম্যানের পদে তরুণ জানা।
যদিও দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা শিশির অধিকারী থেকে কোন রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে দুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভায় অধিকারী পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘ওখানে আরও কয়েকজন উপসর্গহীন রোগী রয়েছে’। আর এসবের পরেও মনে করা হচ্ছে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দিয়ে কড়া বার্তাই দিলো তৃণমূল।