নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার নারদ মামলায় হেভিওয়েট নেতা শোভন চ্যাটার্জি গ্রেফতার হওয়ার সাথে সাথেই নিজাম প্ল্যালেসে ছুটে যান স্ত্রীর রত্না। আর এই ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে আলাদা ভাবে নজর কাড়েন শোভন বাবু। কারণ একদিকে স্ত্রী উকিল নিয়ে ছুটছেন, অন্যদিকে বান্ধবী ছুটছেন ওষুধ নিয়ে। এই ঘটনায় ঈর্ষান্বিত হতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের।
অন্যদিকে শোভন চ্যাটার্জি গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি জেলে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। সেখানে আবার পাশের কেবিনেই থাকার জেদ ধরেন বৈশাখী। আর এসবের মাঝেই আবার নতুন করে উত্থাপিত হলো নতুন অধ্যায়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শোভন চ্যাটার্জি তার আইনজীবীর মারফত এসএসকেএমের সুপারকে একটি চিঠি দিয়েছেন। যে চিঠিতে লেখা হয়েছে, কোনভাবেই যেন রত্নাকে তার মক্কেলের ওয়ার্ডে যেতে দেওয়া না হয়। অন্ততপক্ষে শোভন চ্যাটার্জি যতক্ষণ না অনুমতি দিচ্ছে না ততক্ষণ পর্যন্ত। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রত্না চ্যাটার্জী হাসপাতালেও শোভন চ্যাটার্জীর ওয়ার্ডে ঢোকেননি। কিন্তু এমন চিঠির কারণ কি?
চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, যেহেতু শোভন এবং রত্নার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলছে তাই এই মুহূর্তে হাসপাতালে ওয়ার্ডে রত্না এবং তার সঙ্গীরা ঢুকে অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি রত্না ছাড়াও যাতে ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকেও যেন ঢুকতে না দেওয়া হয় সেই অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
[aaroporuntag]
যদিও এই চিঠির নেপথ্যে শোভন বাবুর বান্ধবী বৈশাখী হাত রয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। অন্যদিকে আবার রত্না চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, ‘আমি কেন ওর ঘরে ঢুকতে যাবো। যাদের ঢোকার তারাই ঢুকবে। আমার ছেলে মেয়ে ঢুকবে।’ যদিও চিঠি অনুসারে ছেলে মেয়ে ঢোকাতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।