‘তৃণমূলের উস্কানিতেই চলছে বিক্ষোভ’, দাবি বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদর

Shyamali Das

Updated on:

লাল্টু : বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে অশান্তি করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ এমনই বার্তা দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই বার্তার পাল্টা বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের দাবি, তৃণমূলের উস্কানিতেই এই বিক্ষোভ অশান্তি।

লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাশ হয়ে যাওয়ার পর তা এখন রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরে আইনে পরিণত। কিন্তু এই বিল নিয়ে সরগরম উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। আসাম, ত্রিপুরার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের আগুণ জ্বলছে। বৃহস্পতিবার থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে পথ অবরোধ, রেল অবরোধ, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভকে প্রশমিত করতে শনিবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা দেন। যে ভিডিওবার্তায় তিনি এই বিক্ষোভের জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করেন। আর বলেন, “বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাঁরা রেল অবরোধ করছেন, তাঁদের অনুরোধ এমন কাজ করবেন না।এমনটা করে সাময়িক লাভ। বিজেপিকে সুবিধা করে দেবেন না। রাজ্যে কোন বিলই লাগু হবে না।”

বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলে অবশ্য উল্টো দাবি। তাঁর বক্তব্য, “কেন ভারতবর্ষকে ২ ভাগ, ৩ ভাগ করা হয়েছে। ভাগ না করা হলে তো এমন সমস্যা থাকতো না। আর আমাদের জেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে কোনো লোক নেই বললেই চলে। দুই এক জায়গায় যদি কেউ থেকে থাকেন তাহলে তাদের সাথে আমরা কথা বলে তাদের ব্যবস্থা নেব।এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে মিশে থাকবে। কিন্তু এইভাবে বিক্ষোভ, রেল অবরোধ, রাস্তা অবরোধ করাটা ঠিক হয়নি।”

পাশাপাশি তিনি এই সমস্ত বিক্ষোভ এবং অবরোধের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করে জানান, “এটা তৃণমূলের সস্তায় একটা রাজনীতি করার উদ্দেশ্য। ক্যাব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। যখন মুসলিমরা দলে দলে বিজেপিতে আসতে চাইছে তখন তৃণমূল এই ক্যাব নামক উস্কানি দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করছে।”