Shyamaprasad Mukherjee dock of Kolkata Port set a unique record in this regard: নিজের করা পুরানো রেকর্ড ভেঙে আবার নতুন রেকর্ড গড়লো শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর (Kolkata Port)। ১৫৪ বছরের ইতিহাসে নজির গড়েছে গত অর্থ বর্ষের পরিষেবা। অন্যান্য বছরে তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বন্দরটির আয় হয়েছে অনেকটাই বেশি। বছর শেষে ৫০১.৭৩ কোটি টাকা লাভ হয়েছে এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহনের ফলে উপার্জিত লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ৩০৪.০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৩-২৪ অর্থবর্ষের চেয়ে ১৯৬.৬৬ কোটি টাকা বেশি লাভ হয়েছে বন্দরটিতে।
২ রা মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দরের (Kolkata Port) তরফ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কলকাতা ও হলদিয়া মিলিয়ে মোট ৬৬.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন পন্য পরিবহন করেছে শুধুমাত্র ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। ভারতের সবচেয়ে প্রাচীনতম বন্দর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর। বন্দরটি প্রায় ১৫৪ বছরের পুরনো। এতগুলো বছরের মধ্যে এই ঘটনা প্রথম ঘটেছে। কলকাতা বান্দরে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পন্য পরিবহনের মাত্রা ছিল ৬৫.৬৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। অর্থাৎ, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা বন্দরে ১.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বাণিজ্যের হার।
কলকাতা বন্দরের (Kolkata Port) চেয়ারম্যান রথীন্দ্র রমনের মতে, বন্দরটি ১৫০ বছরের ইতিহাসে নতুন নিদর্শন গড়েছে এই বছর। এর পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সম্পদের সামগ্রিক ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া, নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে বিভিন্নভাবে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে হলদিয়া বিমানবন্দর থেকে পণ্য পরিবহন করা হয়েছে ৪৯.৫৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তার আগের অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ৪৮.৬০৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। অর্থাৎ এবছর ১.৯১ শতাংশ বেশি পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। তবে খিদিরপুর ডকের লক গেটের কাজ চলার কারণে কলকাতা বন্দরের সামগ্রিক বাণিজ্যে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে।
আরও পড়ুন ? Richest District in West Bengal: রাজ্যের ধনী জেলা কোনটি? জানুন কত নম্বরে কলকাতা
২০১.২৩ কোটি টাকা খরচা করে কলকাতা বন্দরে (Kolkata Port) চারটি বড় প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। এই অর্থবর্ষে একটি বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টন ক্ষমতা সম্পন্ন রোল মাউন্টেড কোয়ে ক্রেন স্থাপন করা হয়েছে, ৫২.৮২ কোটি টাকা খরচ করে। হলদিয়া বন্দরের ১ ও ২ নম্বর ওয়েল এবং বার্জ জেটিতে ১০৭.৪৯ কোটি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়া খিদিরপুর ডকে একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প ও হলদিয়ায় মূল ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৩১.৫৫ কোটি টাকা।
কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন করা হয়েছে ১৬.৮৫৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তার ঠিক আগের বছর ১৭.০৫২ মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করা হয়েছিল। হলদিয়া বন্দর মূলত জ্বালানি পণ্য অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম বা ওই জাতীয় তরল, লৌহ আকরিক, কোক-কয়লা, সার, উদ্ভিজ্জ তেল, কন্টেইনার বাহিত পণ্যগুলির উপর জোর দিচ্ছে। আর খিদিরপুর ডকে জোর দেওয়া হচ্ছে কয়লা, কোক কাঠ, সার, ডাল বা ওই জাতীয় পণ্যের উপর। খুব শীঘ্রই আরো বেশি আয়তনের একাধিক বড় জাহাজ আনা হবে এই ডকগুলিতে। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা বন্দর (Kolkata Port)।