কেষ্ট গড়ে এসে অনুব্রত মণ্ডলকেই তীব্র কটাক্ষ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর

Laltu Mukherjee

Updated on:

Advertisements

লাল্টু : রাজ্যজুড়ে এত উন্নয়ন, তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত ভোটে মশারি টাঙ্গানো, চরাম চরাম ঢাক বাজানোর কোন দরকার ছিল না। মানুষ এমনিতেই ভোট দিতো। বিধানসভা ভোট এখনো অনেক দেরি, আর সেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হতেই উনি প্রার্থী ঘোষণা করছেন! উনি প্রার্থী ঘোষণা করার কে? তাহলে দলনেত্রী কি করবেন? আবার মঙ্গলকোট, আউসগ্রাম, কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পচাআলুতে পরিণত করছেন বীরভূমের নেতারা।

Advertisements

Advertisements

বীরভূমের দুবরাজপুরের যাত্রা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জেলা অধিবেশনে শুক্রবার যোগ দিতে এসেছিলেন গ্ৰন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এখানে এসেই তাকে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার একাংশে রাজনৈতিক কাজকর্মের গতিবিধি নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল। কেষ্ট গড়ে এসে নাম না করে যেভাবে তাকে অনুব্রত মণ্ডলকেই আক্রমণ করতে দেখা গেল তাতে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

Advertisements

এদিন তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বলেছিলাম দল এত কাজ করেছে কাজ, উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। মানুষ এমনি ভোট দেবে। এখানে চরাম চরাম ঢাক বাজানো বা মশারী টাঙানোর কোন দরকার নেই। এখন আবার দেখছি তিনি প্রার্থী ঘোষণা করছেন। তার মানে উনি কি মুখ্যমন্ত্রীকে ছোট করতে চাইছেন। প্রার্থী ঘোষণা করার উনিকে? প্রার্থী ঘোষণা করবেন দলনেত্রী। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মানুষেরা যারা বসে আছেন তারা কি করবেন? এই যে তার আস্ফালনে দলের মধ্যে আরেকটা গৃহযুদ্ধ লাগাতে চাইছেন। এটা খুব নিন্দনীয়। উনি কে প্রার্থী ঠিক করার।”

এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “এই বীরভূমের নেতাই পথ দেখিয়েছিলেন কিভাবে নির্বাচন করতে হয়। নির্বাচন না করে কিভাবে জিততে হয়। এই যে তার আস্ফালন, তা খুব মারাত্মক। দলের নেতৃত্বে করবেন কে প্রার্থী হবেন কে হবেন না। উনি কে বলার?”

বর্ধমান জেলা মঙ্গলকোট, আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম বীরভূমের সাথে যুক্ত আর এই সম্পর্কের কারণে ক্যান্সার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। তিনি বলেন, “এইভাবে চলতে পারে না। বীরভূম জেলার নেতারা সেখানকার পরিস্থিতিকে ক্যান্সারের মতো তৈরি করেছেন। ভালো আলুকে পচিয়ে দিচ্ছে। এটার আমি প্রোটেস্ট করছি। সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বীরভূমের নেতৃত্ব। এই নেতার আস্ফালন বেশি হয়েছে, পাবলিক তার উত্তর দেবে সুতরাং দলকে বলব আরও শক্ত হতে।”

অন্যদিকে প্রকাশ্য কর্মী সভায় কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায়কে অপদার্থ বলার পরিপ্রেক্ষিতেও এদিন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে বলেন, “একজন বিশিষ্ট শিক্ষিত মানুষ ও পেশার মানুষকে পাবলিকের সামনে অপদার্থ বলে অপমান করার অধিকার উনাকে কে দিয়েছে। এই সমস্ত কারণের জন্য মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসছে।”

Advertisements