New rules related to SIM cards which can be fine if not followed: ভারতের টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (DoT) ১ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে নতুন সিম কার্ড নিয়ম (SIM Card Latest Update) কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। এই নতুন নিয়মগুলি সিম কার্ডের নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য আরও কঠোর। বর্তমানে, সিম কার্ড কিনতে খুব বেশি বাধা-নিষেধ নেই। এর ফলে, অনেক সময় সিম কার্ড অপব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, সিম কার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতি, ভুয়া কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণা, এবং স্প্যাম মেসেজিং করা হয়।
নতুন নিয়মগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরা সিম কার্ড কিনতে পারবেন না। সিম কার্ড কেনার সময় গ্রাহকদের আধার বা পাসপোর্টের মতো সরকারি পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে। সিম কার্ড কিনতে হলে গ্রাহকদের টেলিকম সংস্থার দোকানে বসেই KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সিম কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে গ্রাহকদের পুনরায় KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। টেলিকম সংস্থাগুলিকে অবশ্যই তাদের সিম বিক্রয়কারীদের KYC করতে হবে।এই নতুন নিয়মগুলি (SIM Card Latest Update) লঙ্ঘন করলে টেলিকম সংস্থাগুলিকে প্রতিটি সিম কার্ডের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে।
নতুন জারি করা সার্কুলারে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে, ভারতে সিম কার্ড বিক্রয় এবং ভারতীয়দের সিম কার্ড ব্যবহার সংক্রান্ত নতুন বা মডিফায়েড নিয়মগুলি। একটি নিয়ম সাধারণ সিম কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য এবং অন্য একটি নিয়ম Jio এবং Airtel এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য। টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য যে নিয়ম তার মধ্যে দিয়েই ভারতে সিম কার্ডগুলি এতদিন যেভাবে বিক্রি হত, সেই বিষয়টি কিছুটা পরিবর্তিত হচ্ছে। এতদিন ধরে ভারতে যেভাবে সিম কার্ড বিক্রি হচ্ছিল তাতে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ছিল। সেই নিরাপত্তা জোরদার করতেই সিম কার্ড জারি ও সর্বোপরি ব্যবহারে নতুন নিয়মগুলি লাগু করা হচ্ছে (SIM Card Latest Update)।
Airtel এবং Jio-র মতো টেলিকম সংস্থাগুলি যাদের কাছে সিম কার্ড বিক্রি করছে সেই সব দোকানের পুঙ্খানুপুঙ্খ KYC করতে হবে। যদি সংখ্যাগুলো এই কাজটি করতে সমর্থ্য না হয় তাহলে তাদের দোকান প্রতি জরিমানা দিতে হবে ১০ লাখ টাকা। নতুন এই নিয়মটি কার্যকর হতে চলেছে ২০২৩ সালের ১লা অক্টোবর থেকে। নতুন নিয়মে (SIM Card Latest Update) আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা আছে যে ২০২৪ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব দোকানকেই কেওয়াইসি করে ফেলতে হবে। Jio এবং Airtel এর মতো সংস্থাগুলিকে অতি অবশ্যই নজর রাখতে হবে যে, তারা কাদের এবং কীভাবে সিম কার্ড বিক্রি করছে।
আরেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অসম, কাশ্মীর এবং উত্তর পূর্বের মতো নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চলে, টেলিকম অপারেটরদের একটি চুক্তিতে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া, গ্রাহকদের কাছে নতুন সিম বিক্রি করার আগে অবশ্যই দোকানগুলির পুলিশ যাচাই শুরু করতে হবে। নতুন সিম কার্ড কিনতে গেলে আগে অবশ্যই গ্রাহকের আধার ভেরিফিকেশন করাতে হবে। নতুন নিয়মে বলা হচ্ছে, কোন কারণে যদি পুরনো সিম কার্ড হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও ইস্যু করার জন্য আধার ভেরিফিকেশনের সহায়তা লাগবে। ঠিক যেমনটা নতুন সিম ইস্যু করার ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হয়। সহজ ভাষায় বললে বোঝা যায় যে, আপনার ফোনে থাকা সিম কার্ডটি কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, আপনি তা ফিরে পেতে সর্বাগ্রে আপনার নাম, ঠিকানা-সহ একাধিক বিষয় যাচাই করতে পারেন।