নিজস্ব প্রতিবেদন : দেখতে দেখতে কেটে যাচ্ছে মাসের পর মাস। সামনেই আসছে আশ্বিন মাস। আর আশ্বিন মাস মানেই বাঙালিদের সবথেকে বড় পুজো উৎসব দুর্গাপূজো বা দুর্গোৎসব। সারাবছর প্রতিটি বাঙালিই অপেক্ষা করে থাকেন এই একটি পুজোর জন্য। তবে চলতি বছর আশ্বিন মাস মল মাস হওয়াই দুর্গা পুজো হবে কার্তিক মাসে। দুর্গা পুজোর সময় সপ্তমীর দিন দেবীর আগমন ঘটে, আর দশমীর দিন দেবীর বিসর্জন বা বিদায়।
আর এই দিন দুর্গাপুজোয় দেবী কীসে আসবেন বা কীসে যাবেন তার জন্য রয়েছে নানা রকমের যান। আর এই সকল যানের কথা উল্লেখ রয়েছে শাস্ত্রে। কোন বছর দেবী কোন যানে করে আসবেন তাও প্রতি বছরের পঞ্জিকাতেই লেখা থাকে। তবে পঞ্জিকা ছাড়াই এই যানের হিসেব কষার একটি সহজ সূত্র রয়েছে। যে সহজ সূত্রটুকু যদি একবার বুঝে নিতে পারেন তাহলে পঞ্জিকা ছাড়াই বলে দিতে পারবেন কোন বছর মা দুর্গা কীসে করে আসবেন আর কীসে করে যাবেন।
শাস্ত্রে লেখা রয়েছে, “রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ। গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং নৌকায়াং বুধবাসরে।।”
‘রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া’, অর্থাৎ, রবিবার অথবা সোমবার যদি কোনো বছর সপ্তমী হয় তাহলে মায়ের আগমন ঘটবে গজে বা হাতিতে। ঠিক একই হিসেব অনুযায়ী দশমীর দিনও যদি রবি বা সোমবার পরে তাহলে মায়ের বিদায় হবে গজে।
‘ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ’, শ্লোকটির অর্থ হলো সপ্তমী ও দশমী যদি শনিবার বা মঙ্গলবার হয় তাহলে মায়ের আগমন ও বিসর্জন হবে ঘোটকে বা ঘোড়ায়।
‘গুর শুক্রে চ দোলায়াং’, এর অর্থ হলো সপ্তমী এবং দশমী যদি বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবারে হয়ে থাকে তাহলে দেবীর আগমন ও বিসর্জন ঘটবে দোলায়।
‘নৌকায়াং বুধবাসরে’, অর্থাৎ সপ্তমী ও দশমী যদি বুধবারে হয় তাহলে দেবীর আগমন ও বিসর্জন দুইই নৌকায় হবে।
এটাই হলো শাস্ত্রের নিয়ম। আর এই নিয়মানুযায়ী চলতি বছর দুর্গাপূজোর সপ্তমী পড়েছে মঙ্গলবার এবং দশমী পড়েছে শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব মতো দেবীর আগমন হবে ঘোটকে এবং দেবীর বিসর্জন বা বিদায় হবে দোলায়।