Singur subway is going to be built, Hooghly residents will get benefits: সম্প্রতি জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ সম্প্রসারিত হয়েছে পালসিট থেকে ডানকুনি পর্যন্ত। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। রাস্তার নির্মাণ কাজ করছে আদানি গোষ্ঠী। সিঙ্গুর ঘটনার পর এই এলাকাটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। নয়া এই উদ্যোগ হুগলি বাসির কাছে সত্যিই খুশির। তবে গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই এলাকার উন্নয়নে জোর দিয়েছে। সিঙ্গুর এলাকায় ওই রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু পরিমার্জনের পর সেই অনুরোধ কার্যত মেনে নিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে সিঙ্গুরে একটি সাবওয়ে প্রকল্পের (Singur Subway) পরিকল্পনা করা হয়।
২০২৩ সালের ২৪ জুন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কমন্ত্রী নিতীন গড়কড়িকে একটি চিঠি লিখে সিঙ্গুরে সাবওয়ে প্রকল্পের (Singur Subway) অনুমোদনের জন্য অনুরোধ জানান। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, সিঙ্গুরে একটি ছয় লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। এই সড়কটি নির্মাণ হলে রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা হবে। তাই এই সড়কের নিচে একটি সাবওয়ে নির্মাণ করা প্রয়োজন। প্রকল্পটি পরিমার্জনের ফলে খরচও বাড়তে পারে অনেকটাই। প্রায় ১০০ কোটি টাকার খরচ বাড়তে পারে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের পর, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পটির একটি পরিমার্জিত পরিকল্পনা অনুমোদন করে। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে, হুগলির সিঙ্গুরে একটি ৪০০ মিটার দীর্ঘ এবং ৮ মিটার প্রশস্ত সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে। এই সাবওয়েটি (Singur Subway) সিঙ্গুরের একটি বাজার এবং একটি বাস স্টেশনকে সংযুক্ত করবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলার রাজনীতিতে সিঙ্গুরের প্রাসঙ্গিকতা কোনও অংশে কম নয়, তাই এই অঞ্চলের গুরুত্ব বেশি।
নতুন পরিকল্পনা অনুমোদনের পর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ কোটি টাকা এবং রাজ্য সরকার ৫০ কোটি টাকা দেবে। হুগলির মানুষ পাবে বাড়তি সুবিধা যেমন, সাবওয়ে (Singur Subway) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পটি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সহায়তা করবে।
সিঙ্গুরে সাবওয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্য সুবিধা হলো, রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা দূর হবে, এলাকার যানজট কমবে। এমনকি সিঙ্গুরে সাবওয়ে প্রকল্পের ফলে পরিবেশ দূষণের হাত থেকেও প্রতিকার পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রশাশনের আশা এই যে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে।