নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের তরফ থেকেও প্রতিনিয়ত রেল পরিষেবাকে অত্যাধুনিক করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এই সকল চেষ্টার মধ্যে ভারতে এখন একের পর এক দ্রুত গতি ট্রেন ট্র্যাকে ছোটানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সেই সকল ট্রেনের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) যেমন রয়েছে ঠিক সেইরকমই আসতে চলেছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। এই সকল ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ১৮০ থেকে ৩২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হবে বলে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে দাবী করা হচ্ছে।
বন্দে ভারত থেকে বুলেট, অত্যাধুনিক সব ট্রেন যখন ট্র্যাকে দৌড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সেই সময় সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হলো গতি। সবাই এখন দ্রুতগতির এই সকল ট্রেনের দিকেই নজর রাখছেন। তবে এই প্রসঙ্গেই ভারতীয় রেলের একটি অজানা বিষয় হল, সাইকেলের থেকেও ধীর গতিতে চলে একটি ট্রেন। সেই ট্রেনটি হল দেশের সবচেয়ে ধীরগতির ট্রেন।
দেশের সবচেয়ে ধীর গতির ট্রেনটি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটারের থেকেও কম গতিতে চলাচল করে। এই ট্রেনটি হল ‘মেট্টুপালায়ম উটি নীলগিরি প্যাসেঞ্জার ট্রেন’ (Mettupalayam Ooty Nilgiri Passenger Train)। এই ট্রেনটি আবার ‘নীলগিরি মাউন্টেন ট্রেন’ (Nilgiri Mountain Train) নামেও পরিচিত। এই ট্রেনটি স্টিম ইঞ্জিনের মাধ্যমে চালানো হয়। ট্রেনটি তামিলনাড়ুর উটি এলাকার পাহাড়ে চলাচল করে।
দেশের সবচেয়ে ধীরগতির এই ট্রেনটি তামিলনাড়ুর মেট্টুপালায়ম থেকে উটি রেল স্টেশনের মধ্যে প্রতিদিন চলাচল করে। মাঝে যেসকল স্টপেজ রয়েছে সেগুলি হল কেলার, কুনুর, ওয়েলিংটন, লাভডেলি এবং ও ওকাটামুন্ড। সাধারণত এই ট্রেনটি ৫ ঘন্টায় ৪৬ কিলোমিটারে যাত্রা শেষ করে, আবার কখনো কখনো বৃষ্টিপাত বা খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৬-৭ ঘন্টায়ও লেগে যায়। ট্রেনটির গতিবেগ এতটাই কম যে আপনি চাইলে দৌড়ে দৌড়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারবেন।