Advertisements

Smallest Country in World: শুরু হতে না হতেই শেষ! কীভাবে গড়ে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ

Prosun Kanti Das

Published on:

The smallest country in the world without soil, floating on two steels: আমাদের এই বিশ্ব সত্যি বৈচিত্র্যময়। এর প্রতিটি বাঁকে বাঁকে রয়েছে যেরকম প্রাকৃতিক বৈচিত্র নজিরবিহীন ঠিক তেমনভাবেই ইতিহাস ও স্থাপত্য আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এবং নজিরবিহীন আকর্ষণীয় সবকিছুর উপরেই মানুষের কৌতুহল চিরকালীন, সে বৃহত্তম পর্বত হোক অথবা ক্ষুদ্রতম নদী। ঠিক এমন ভাবেই পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ কোনটি সেটি জানার উপরেও বিশ্ববাসীর আগ্রহ কম নেই। ভ্যাটিকান সিটি আয়তনে সবথেকে ছোট‌ দেশ হিসাবে বিশ্বের কাছে পরিচিত হলেও এর থেকেও ক্ষুদ্রতম দেশের (Smallest country in world) সন্ধান পাওয়া যায় আমাদের ইতিহাসে যেটি অবস্থিত আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে।

Advertisements

ইংল্যান্ডের উত্তর উপকূল থেকে 10 কিলোমিটার গভীরে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর ইস্পাত নির্মিত দুটি পিলারের ওপর অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এই দেশ (Smallest country in world), যা প্রিন্সিপ্যালিটি অফ সীল্যান্ড নামে পরিচিত। ক্ষুদ্রতম দেশের এই নামটির ব্যবহারিক প্রচলনের ফলে এটি সীল্যান্ড হিসাবে পরিচিত হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। গোটা দেশটি সমুদ্রের উপর ইস্পাতের দন্ডের উপর ভাসমান হওয়ায় এই দেশে কোন মাটির পাওয়া যায় না। এই সীল্যান্ডে একটি মাত্র বাড়ি দেখা যায় যেটি রাজপ্রাসাদ হিসেবে পরিচিত। অতএব এর একটি মাত্রই রাজধানী বর্তমান সেটির নাম হল HM Fort Roughs। রাজপ্রাসাদের সামনে দেশের পতাকাও উড়তে দেখা যায়। ক্ষুদ্রতম এই দেশে (Smallest country in world) কোন অধিবাসী না থাকলেও নিজস্ব ডাক টিকিট, মুদ্রা, সংবিধান, হেলিপ্যাড ইত্যাদি সবই রয়েছে।

Advertisements

এই সিল্যান্ডের উৎপত্তি সম্পর্কিত তথ্যটি বেশ চমকপ্রদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মান নৌ সেনার জাহাজের উপর নজরদারি করার জন্য ইংল্যান্ডের উত্তর উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার ভিতরে আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে নির্মিত করা হয়েছিল ইস্পাত তৈরি সী ফোর্ট। ব্রিটিশ সরকার নিজের দেশের সুরক্ষার্থেই মূলত তৈরি করেছিলেন এই ভাসমান ফোর্টটি। যুদ্ধ শেষে অসংখ্য ফোর্টের মতো এটিও পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করেন ব্রিটিশ নৌসেনা বাহিনী।

Advertisements

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ইতালি এবং আফ্রিকাতে যুদ্ধের অধিনায়কত্ব করেছিলেন ব্রিটিশ ফৌজ অফিসার মেজর রয় বেটস (Major Paddz Roy Bates)। যুদ্ধ পরবর্তীতে মেজর রেডিও সম্প্রচারের ব্যবসা শুরু করতে উদ্যোগী হন। কিন্তু সেই মুহূর্তে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি না মেলায় অবৈধভাবে ‘রেডিও এসেক্স’ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে শুরু করেন তার ব্যবসা। বেআইনি এই ব্যবসা চালানোর জন্য বেটস সন্ধান পান পরিতক্ত্য ইস্পাত তৈরি এই ভাসমান কাঠামোর। ১৯৬৭ সালের ২রা সেপ্টেম্বর স্ত্রী পুত্র নিয়ে এই সীল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন মেজর।

কিন্তু জনশ্রুতি অনুযায়ী ব্রিটিশ নৌসেনা অভিযান চালায় সীল্যান্ডে এবং বাজেয়াপ্ত করে বেআইনি রেডিও স্টেশন এবং তার সম্পর্কিত সব যন্ত্রপাতি। বিপুল টাকা জরিমানা দিতে হয় বেটসকে। কিন্তু সেখানকার মায়া পরিত্যাগ করতে পারেননি মেজর। ২০০৬ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্তব্ধ করে দিয়েছিল ছোট্ট এই দেশটিকে। যদিও ব্রিটিশ সরকার উদ্ধার কার্য চালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন সকলের এবং পরবর্তীকালে আবার সেই জায়গাটিকে মেরামত করে বাসযোগ্য করে তুলেছেন।

Advertisements