নিজস্ব প্রতিবেদন : এমনিতে না পারলেও ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়ে না পাকিস্তান। মিথ্যা বলে বারংবার এই আক্রমণ করা হয়। খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও একাধিকবার ভারতকে আক্রমণ করেছেন একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে। কিন্তু এবার এই আন্তর্জাতিক মঞ্চেই ভারত কন্যার মোক্ষম জবাব ল্যাজে গোবরে অবস্থা পাকিস্তানের।
পাকিস্তান যতবারই ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আক্রমণ করুক না কেন পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতেই সেইসব আক্রমণ ধোপে টেকে না। আর এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইমরান খানের বক্তব্য পরেই তার কড়া জবাব দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী প্রতিনিধি ভারত কন্যা স্নেহা দুবে। আর তার এই কড়া জবাবে যখন ল্যাজে গোবরে অবস্থা পাকিস্তানের, ঠিক সেই সময়ই এই ভারত কন্যার জন্য যেমন গর্বিত বোধ করছেন প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক, ঠিক তেমনি তার পরিচয় খুঁজতেও ব্যস্ত।
স্নেহা দুবে হলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে দেশের প্রতিনিধি তথা ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি। তিনি গোয়ার বাসিন্দা। ২০১২ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর একবারেই ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের কঠিন পরীক্ষা পাস করেছেন।
স্নেহা দুবে গোয়ায় স্কুল জীবন শেষ করে চলে আসেন পুনেতে। সেখানে তিনি ফার্গুসন কলেজ থেকে স্নাতক হন। তারপরেই সোজা পাড়ি দেন দিল্লিতে। জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে এম ফিল ডিগ্রি করেন। এর পরেই শুরু হয় তার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার লক্ষ্য পূরণ। ২০১১ সালে প্রথমবার পরীক্ষায় বসেই পরীক্ষার বাধা টপকে যান। তারপরেই ২০১২ সালে যোগ দেন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে।
ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পর তাকে প্রথমে বিদেশমন্ত্রকে নিযুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে তিনি কর্মসূত্রে চলে যান মাদ্রিদের ভারতীয় দূতাবাসে। সেখানে সাত বছর নিজের পটুতা দেখানোর পর বর্তমানে তিনি ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই ছিল স্নেহার। আর সেই স্বপ্ন বর্তমানে তিনি পূরণ করতেও সক্ষম হয়েছেন।
Watch: India exercises its right of reply at the #UNGA @AmbTSTirumurti @MEAIndia @harshvshringla pic.twitter.com/YGcs28fYYa
— India at UN, NY (@IndiaUNNewYork) September 25, 2021
স্নেহা দুবের এই সাফল্য দেখে অনেকেই অনেক কিছু মনে করলেও জানা গিয়েছে তার পরিবারে এর আগে কেউ কোনদিন সরকারি চাকরি করেন নি। তার বাবা একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কর্মী এবং মা একটি বেসরকারি স্কুলের স্কুল শিক্ষিকা।