Winter in Bengal: বাঙালিরা শীতের মজা নিতে প্রস্তুত হয়, কিন্তু এবারের শীত একেবারে ভয়াবহ হতে চলেছে। নভেম্বরের হালকা ঠান্ডা এখন আর নতুন নয়, কিন্তু ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে কলকাতায় যে শীতের রেশ এতটাই তীব্র হবে, তা বোধহয় আমাদের কল্পনায়ও ছিল না। এই বছর শীতের পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে কলকাতার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যেতে পারে—একেবারে তুষারপাতের মত!
দিল্লির মৌসম ভবনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরের লা নিনা (La Nina) আমাদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে চলেছে। লা নিনার এই বিরল সক্রিয়তা পশ্চিমবঙ্গের শীতকালকে (Winter in Bengal) একেবারে ‘আর্কটিক তুষার’ এর মত ঠান্ডা করে তুলবে। ইতিমধ্যেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা শীতকালে তীব্র তাপমাত্রার পতনের সম্ভাবনা সংকেত দেয়। সুতরাং, কলকাতার সোনালি সূর্যের নিচে যে তুষারপাত হবে, তা আমরা দেখতে পারি।
এল নিনো (El Nino) এবং লা নিনা উভয়েই মহাসাগরের পরিস্থিতি পরিবর্তন করে আবহাওয়ার চরমপন্থী অবস্থার সৃষ্টি করে। এল নিনো থেকে আমরা সাধারণত গরম ও অতিবৃষ্টি এবং লা নিনার কারণে তীব্র শীতের সম্মুখীন হই। ২০২৪ সালের শীতে লা নিনা প্রভাবিত হলে, সারাদেশে এমন হাড় কাঁপানো ঠান্ডার প্রকোপ দেখা যাবে, যা অভূতপূর্ব হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন যে, এবার শীতকাল আমাদের জন্য চরম পরীক্ষা হতে চলেছে।
আরো পড়ুন: সাগরে গভীর নিম্নচাপ, শুক্রবার পর্যন্ত এইসব জেলায় বৃষ্টির মেগা আপডেট দিল আবহাওয়া দফতর
লা নিনার এই প্রভাবটি সাধারণত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে শুরু হয় এবং অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করে। এই প্রভাবের ফলস্বরূপ ঘূর্ণিঝড়ও সৃষ্টি হতে পারে, যা শীতকালকে আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে। বিভিন্ন সুত্রের মতে, কলকাতার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গিয়ে বরফ পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই সকলকে জানানো হচ্ছে, এই নতুন শীতের প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন। শীতকাল (Winter in Bengal) এবার শুধু ঠান্ডাই নয়, বরফও নিয়ে আসতে পারে।
তবে, পশ্চিমবঙ্গের কিছু বিশেষজ্ঞ এবং আবহাওয়াবিদরা আশ্বস্ত করছেন যে, যদিও তাপমাত্রার পতন হতে পারে, তুষারপাতের সম্ভাবনা এখনও অনেকটা সীমিত। স্থানীয় জনগণ এবং প্রশাসন সতর্ক থাকছেন, কিন্তু তীব্র শীতের এই পূর্বাভাসকে কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখছেন। বিভিন্ন সূত্রের মতে, পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া পরিস্থিতি সাধারণত পরিবর্তনশীল হয়, এবং অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, বরফ পড়ার মতো ঘটনা অনেকটাই অস্বাভাবিক। সুতরাং, মানুষ বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকলেও, এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে।