নিজস্ব প্রতিবেদন : গত শুক্রবার থেকে তরতরিয়ে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তাপমাত্রার সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। যে সকল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন রীতিমত টেক্কা দিচ্ছে দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাকে। তবে এই কনকনে ঠান্ডা (Winter) খুব বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেও জানাচ্ছে হাওয়া অফিস (Weather Office)। এরই মধ্যে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আবার একটি সুখবর নিয়েও হাজির।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে মূলত সুখবর দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। কেননা জানুয়ারি মাসে ফের একবার স্নো-ফলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দার্জিলিং ও সিকিমে (Snowfall in Darjeeling and Sikkim)। পর্যটকরা শীতের মরশুমে দার্জিলিং এবং সিকিমের মতো জায়গা ঘুরতে গিয়ে এই স্নো-ফলের জন্য চাতকের মত তাকিয়ে থাকেন। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ফের একবার এমন অভূতপূর্ব মুহূর্ত উপভোগ করার সুযোগ আসতে পারে পর্যটকদের সামনে।
আসলে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলার উপর। এর প্রভাব দেখা যাবে উত্তর হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে। এর ফলে তিন দিন পাহাড় এবং সমতলের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলেই পার্বত্য এলাকায় বিশেষ করে দার্জিলিং, সিকিমে ফ্রেস স্লো ফল দেখা যেতে পারে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এমন পূর্বাভাস পর্যটকদের কাছে পোয়াবারো হয়ে দাঁড়াতে চলেছে।
দার্জিলিং, সিকিম সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় কবে থেকে স্নো-ফল দেখা যেতে পারে? এই বিষয়ে সিকিমের হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যা জানানো হয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে সিকিমের উঁচু এলাকাগুলিতে তুষারপাত হতে পারে। এর আগে ডিসেম্বর মাসে সিকিমের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গাতে তুষারপাত দেখা গিয়েছিল।
অন্যদিকে বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ যেভাবে নিচে নেমেছে তার দিন কয়েক পরেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়াবে। কেননা এই পশ্চিমীঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ফলে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতে এমন বৃষ্টির পূর্বাভাসের ফলে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।