নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে সমস্ত ধরনের জিনিসের চাহিদা। সেই সকল চাহিদার মধ্যে আবার রয়েছে বিদ্যুৎ (Electric)। বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার মূলে রয়েছে AC সহ অন্যান্য বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়া। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, চলতি বছর যেভাবে বাংলার বাসিন্দাদের লোডশেডিংয়ের (Load Shedding) মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা ইদানিংকালে খুব কম বছরই হতে হয়েছে।
লোডশেডিংয়ের কারণ হিসাবে এই বছর নানান বিষয় সামনে এসেছিল। যেগুলির মধ্যে দাবি করা হচ্ছিল বিদ্যুতের ঘাটতি ইত্যাদি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিদ্যুতের ঘাতটির বিষয়টি কখনোই মেনে নেওয়া হয়নি। বরং তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্যই বাংলা জুড়ে এমন লোডশেডিং পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে এই সকল অভিযোগ যেন না থাকে তার জন্য এবার বড় পদক্ষেপের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।
স্পেন সফরে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়ার পর সেখান থেকে ফিরে চিকিৎসার জন্য ৫০ দিন বিশ্রামে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিশ্রাম সেরে নবান্নে ফিরেই বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে তিনি মুখ খোলেন। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। রাজ্যে আরও চার থেকে পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার কথা খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
রাজ্যে নতুন করে যে ৪-৫ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেগুলির মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে করা হবে। এছাড়াও কয়েকটি করা হবে রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ের দিকে তাকিয়ে এইসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে আধুনিক পরিকাঠামোয়। ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা এবং অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে আধুনিকীকরণ করার জন্য প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের ঘাটতি অনেক কম এবং লোডশেডিং অনেক কম হয়। রাজ্যে নতুন করে চার-পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হলে লোডশেডিং সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে তা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও রাজ্যে আরও চার পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হলে কর্মসংস্থান নিয়েও নতুন আশার আলো তৈরি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।