ডেইলি প্যাসেঞ্জারদের দৌরাত্ম! সিটে বসলেও তুলে দিচ্ছে লোকাল ট্রেনে! এক ফোনে হবে সমাধান

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের হাফ কোটির বেশি মানুষ রেল পরিষেবার (Indian Railways) ওপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যেমন এক্সপ্রেস, মেল, প্যাসেঞ্জার ট্রেন বিপুল সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটে চলে, ঠিক সেই রকমই লোকাল ট্রেনেরও (Local Train) গুরুত্ব অপরিসীম।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, প্রতিদিন অল্প দূরত্বের রাস্তায় শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে শহর যাতায়াত করার জন্য হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ লোকাল ট্রেনের উপর নির্ভর করে থাকেন। এমনকি কিছু কিছু রুটের লোকাল ট্রেনে পা রাখাও মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেকে রয়েছেন যারা লোকাল ট্রেনে সিট পাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি এসে হাজির হন বা ট্রেনে ওঠেন। শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখা হোক বা বনগাঁ লাইন বা মেন লাইন, সব রুটের লোকাল ট্রেনেই মানুষকে ঝুলে ঝুলে যেতে দেখা যায়।

এই সকল রুটের সাধারণ যাত্রীদের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, অলিখিত কিছু নিয়ম তৈরি করে ফেলেছেন নিত্যযাত্রী অর্থাৎ ডেইলি প্যাসেঞ্জাররা। শিয়ালদা থেকে ট্রেনে ওঠার পর দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর, বনগাঁ শাখায় বারাসত, মেইন লাইনে ব্যারাকপুর-নৈহাটির পরেই সাধারণ যাত্রীদের সিট থেকে উঠে যাওয়ার জন্য রীতিমত বাধ্য করা হয়।

যাত্রীদের একাংশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ডেইলি প্যাসেঞ্জারদের একাংশ সিটে বসে থাকা যাত্রীদের সিট থেকে তুলে দেন এবং তারা সেই জায়গায় বসেন। এই পরিস্থিতিতে বহু যাত্রী রয়েছেন যারা লিখিতভাবে অভিযোগ না জানালেও বারংবার সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার নড়েচড়ে বসলো রেল। এই ধরনের সমস্যায় এক ফোনেই সমাধান হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে রেলের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে এই ধরনের কোন ঘটনার অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েনি। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি সিট ছাড়তে না চান তাহলে তাকে জোরপূর্বক কোনোভাবেই তুলে দিতে পারেন না অন্য কোন যাত্রী। এমন কোন পরিস্থিতি হলে আরপিএফ-এর নম্বর ১৩৯-এ ডায়াল করতে হবে। শিয়ালদহ রেলের জনসংযোগ আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন, এই নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।