পৌষমেলায় বড় বদল! বিশ্বভারতীর নতুন সিদ্ধান্ত না জানলেই নয়

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : শান্তিনিকেতন তথা বীরভূমের গর্ব হল বিশ্বভারতী (Visva Bharati)। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রয়েছে এমন সব ঐতিহ্য যা বাংলাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করে থাকে। বিশ্বভারতীর যে সকল ঐতিহ্য রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য হলো পৌষমেলা (Poush Mela 2023)। তবে ঐতিহ্যবাহী এই পৌষ মেলা ২০১৯ সালের পর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিন বছর পর ফের পৌষ মেলা ফিরছে শান্তিনিকেতনে।

Advertisements

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই পৌষ মেলা। সম্প্রতি নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয় এবং বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তিনি গুরু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আশা করা হচ্ছিল শান্তিনিকেতনে ফের পৌষ মেলার প্রত্যাবর্তন হবে। সেই আশা মতই শুক্রবার প্রায় দু’ঘণ্টা কর্মসমিতির বৈঠকের পর মেলা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে মেলা করা হলেও বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে।

Advertisements

কর্ম সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর জানিয়ে দেওয়া হয়, এই বছর ফের আগের মতো পূর্বপল্লীর মাঠে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলার আয়োজন করা হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষ মেলার আয়োজন করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরই মনে করা হচ্ছে এবার আর হবে না ডাকবাংলো মাঠের বিকল্প পৌষ মেলা। কেননা এই পৌষ মেলা বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পৌষ মেলার বিকল্প মেলা হিসেবে আয়োজন করে থাকতো প্রশাসন।

Advertisements

অন্যদিকে এই বছর মেলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বদল আনা হচ্ছে তা হলো মেলার আয়তনে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে মেলা করার যে সুখবর দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে এই বদলের প্রসঙ্গ। যেখানে জানানো হয়েছে, আগের মত এত বড় করে নয়। বরং পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে, দূষণবিধি মেনে এবার ছোট করে আয়োজিত হবে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলার।

অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও ৭ই পৌষ পৌষ মেলার শুরু হয়ে যাবে। রীতি মেনে তার আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই বিশ্বভারতীতে শুরু হবে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। ৭ পৌষ ছাতিম তলায় হবে প্রার্থনা। তবে এই বছর মেলা কত দিনের জন্য আয়োজন করা হবে তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এই বিষয়ে আলোচনা করে খুব তাড়াতাড়ি মেলার সূচি প্রকাশ করবে।

Advertisements