ভারতে নিষিদ্ধ TikTok তারকাদের মাসিক আয় চমকে দিতে পারে আপনাকে

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি জাতীয় স্বার্থে ও বেজিংকে চরম বার্তা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার ৫৯ টি চীনা অ্যাপ ব্যান বা নিষিদ্ধ করেছে। ব্যান করা এই অ্যাপগুলির মধ্যে জনপ্রিয় অ্যাপ TikTokও রয়েছে। বিগত দিনগুলিতে এই অ্যাপটি রোজগারের অপর একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। এই অ্যাপে ভিডিও তৈরি করে অনেক টিকটক তারকারা প্রচুর টাকা রোজগার বা আয় করেছেন। মঞ্জুল খট্টর, অভনিত কৌর, জন্নত জুবিরের মত নামগুলি রাতারাতি স্টার হয়ে উঠেছিল এই টিকটকের কারণেই। তাই টিকটক অ্যাপটিকে যখন ব্যান করা হলো‌ তখন দেশের স্বার্থে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও এই টিকটক স্টাররা যে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সে কথা অনস্বীকার্য। কারন তাঁদের মাসিক আয় চমকে দিতে পারে আপনাকে।

TikTok থেকে TikTok তারকাদের মাসিক আয়

১) মঞ্জুর খট্টর : সাধারণ ঘরের এই ছেলেটি এক সময় আমাদের চোখের সামনে স্টার হয়ে উঠলেন টিকটকের সৌজন্যে। টিকটকে তার ফলোয়ার্স ছিল ১ কোটি ২৩ লক্ষ। টিকটকের এই ফলোয়ার্সের প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই তার অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলির উপরও ছিল। ফলে ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব থেকে সর্বত্রই তার ফলোয়ার্স বাড়তে থাকে। শুধু টিকটক ভিডিও করেই মঞ্জুল মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতেন।

২) জন্নত জুবির : ভারতের টিকটক তারকাদের মধ্যে জন্নত জুবির ছিলেন সবথেকে পরিচিত একটি নাম। চীনা অ্যাপটিতে তার ফলোয়ার্স ছিল দুই কোটির কাছাকাছি। টিকটকের এই জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরই তিনি নিজস্ব মিউজিক ভিডিও লঞ্চ করেন এমনকি টেলিভিশনের লিড রোলেও চান্স পান টিকটকের প্রভাবেই। জানা গিয়েছে, মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা রোজগার করতেন জন্নত জুবির টিকটিক থেকে।

৩) আয়েজ দরবার : আয়েজ টিকটক দিয়ে তার পেশা শুরু করেননি। তিনি একজন ইউটিউবার ছিলেন। ইউটিউব থেকেই তিনি টিকটকের জগতে আসেন। ইউটিউবার টিকটকারের পাশাপাশি আয়েজ একজন কোরিওগ্রাফারও। ইনি টিকটক ভিডিও থেকে মাসে ১৪ লক্ষ টাকা করে রোজগার করতেন। আয়েজের ফলোয়ার ছিল ১ কোটি ৭৩ লক্ষ।

৪) অভনীত কৌর : অভিনীতকে আমরা প্রথম দেখতে পাই ডান্স ইন্ডিয়া ডান্সের মঞ্চে।কিন্তু সেখানে তিনি ততটা সাফল্য লাভ করতে পারেননি যতটা লাভ করেছেন চীনা অ্যাপ টিকটকের দৌলতে। জন্নতের মত অভনীতও টিকটকের জনপ্রিয়তা থেকেই টেলিভিশনে সুযোগ পান। ভারতীয় টিকটক তারকাদের মধ্যে সবথেকে বেশি রোজগার করতেন অভিনীত। টিকটক থেকে তার রোজগার ছিল মাসে ১৬ লক্ষ টাকা।

৫) গিমা আশি : টিকটকের গিমা‌ আশিকে সকলেই এক নামে চেনেন। তিনি পেশাগত ক্ষেত্রে একজন মডেল ছিলেন। এরপর তিনি টিকটকের জগতে আসেন। টিকটকে একটি গানের ভিডিও পোষ্ট করে বিপুল জনপ্রিয়তা পান গিমা। ‘বহত হার্ড’ গানে তিনি নিজের ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন। এই ভিডিও এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ এই ভিডিওটি দেখেছিলেন। এরপর মডেলিংয়ের জগত থেকে টিকটকের জগতে যাত্রা শুরু করেন দিল্লির এই মডেল। টিকটক ভিডিও তৈরি করে মাসে তিনি ৬ লাখ টাকা রোজগার করতেন। চীনা অ্যাপ টিকটকে তার ফলোয়ার্স সংখ্যা ১ কোটি।

এই সকল তারকারা ছাড়াও আরও অনেক ভারতীয় তারকা টিকটকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। টিকটক ব্যান হওয়ার পর কয়েক দিন ধরেই সোশাল মিডিয়ায় এইসকল টিকটক স্টারদের প্রতিক্রিয়াও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে টিকটক ব্যান হওয়ার কারণে জনসংযোগ হারিয়ে জনৈক টিকটক স্টার অত্যন্ত আহত হয়েছেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বসিরহাটের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরাত জাহানও জাতীয় স্বার্থে টিকটক ব্যান হ‌ওয়াকে সমর্থন করলেও টিকটকে ফলে রোজগার হারানো মানুষদের কথা ভাবতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছেন।

আর যে কারনে টিকটকের বিকল্পও আসতে চলেছে আগামী ১৫ই জুলাই। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আসছে Zee5 এর HiPi। সুতরাং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি কারোর মধ্যে সত্যিই ট্যালেন্ট থাকে তাহলে যে কোনো জায়গাতেই নিজের ট্যালেন্ট দেখাতে পারবে।