Some incidents of Puri Jagannath temple which are still shrouded in mystery: বাঙালি বরাবরই ঘুরতে পছন্দ করে, আর ঘোরার জায়গার লিস্টে পুরীর নাম থাকে সবার উপরে। পুরীতে ঘুরতে যাওয়ার বাঙালি সব থেকে বড় উদ্দেশ্য হলো সমুদ্র দেখা এবং জগন্নাথদেবের মন্দিরে (mystery of Jagannath temple) পুজো দেওয়া। যখনই কেউ মন্দিরে পুজো দিতে যায়, তার শুধু একটাই বাসনা থাকে জগন্নাথদেবের দর্শন এবং মন্দিরের ধ্বজা বাধা দেখা। পুরীতে অন্যান্য সময় যত না ভক্ত সমাগম ঘটে তার থেকে অনেকাংশে বেশি ভক্তর আগমণ ঘটে রথযাত্রা উপলক্ষে। এই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে বহু রহস্য রয়েছে যা ভক্তদের কাছে আজও অজানা।
প্রথমেই জেনে নিই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (mystery of Jagannath temple) অজানা রহস্যের কথা। এই মন্দিরকে ঘিরে বহু রহস্য আছে যা ভক্তরা এখনো স্পষ্ট ভাবে জানেনা। পুরীর জগন্নাথ মন্দির এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যে এর চূড়ার ছায়া কোনোভাবেই মাটিতে পড়ে না। এছাড়া পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রয়েছে একটি বিশেষ সুদর্শন চক্র। কিভাবে এই চক্রের সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও মন্তব্যের শেষ নেই। আশ্চর্যের ঘটনা হলো যেই দিক থেকে এই সুদর্শন চক্রে তাকানো হোক না কেন তা সব সময় সোজা দেখায়।
মন্দিরের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হল কল্পবট। ভক্তদের কাছে এর মাহাত্ম্য অনেক। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (mystery of Jagannath temple) এই গাছটি অবস্থিত এবং এই গাছটিকে সবাই জানে ইচ্ছাপূরণকারী গাছ হিসাবে। তাই ভক্তরা এই গাছটিকে পবিত্র গাছ হিসেবে মনে করে। এই মন্দিরে প্রতিদিন দুই লাখেরও বেশি ভক্তের আগমন ঘটে। কিন্তু ভগবানের এমনই চমৎকার যে আজ পর্যন্ত এখানে ভোগের মহাপ্রসাদ কম পড়েনি।
অন্যদিকে আরো একটি চমৎকার ঘটনা হলো, কথিত আছে যে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (mystery of Jagannath temple) উপরে যে ধ্বজা রয়েছে তা সর্বদাই হওয়ার বিপরীত দিকে ওড়ে। পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরটির প্রবেশের মূল দ্বার সমুদ্রের উলটো দিকেই অবস্থিত। কিন্তু, যখন আপনি সিংহদুয়ারের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করবেন তখন সমুদ্রের ঢেউয়ের কোনও শব্দ শোনা যায় না। আরো একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, সিংহদুয়ার দিয়ে যখন ভক্তরা প্রবেশ করে গরুড় স্তম্ভের কাছে তাদের শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়। যদি আপনি গরুড় স্তম্ভের কাছে দাঁড়ান তাহলে সরাসরি জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি দেখতে পাবেন। কথিত আছে যে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই গরুড় স্তম্ভ থেকে জগন্নাথদেবের দর্শন করতেন।
শুনলে সত্যিই অবাক হবেন যে, রথযাত্রার আগে জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরামের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেই জায়গা থেকে এই আয়োজন শুরু করা হয় তাকে স্নানবেদী বলে। মোট ১৫ দিন জগন্নাথদেবের দর্শন স্নানযাত্রার পর বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, স্থানের পর জগন্নাথ দেব অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে সুস্থ করার জন্য তৈরি করা হয় বিশেষ বিশেষ খাবার। তারপর তিনি সুস্থ হলে শুরু হয় রথযাত্রা। বাঙ্গালিদের কাছে পুরী হল একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান। এর সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ। সম্প্রতি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পুরীর আদলে দিঘাতেও তৈরি হচ্ছে একটি জগন্নাথদেবের মন্দির।