বিশ্ব সভ্যতায় মিশরের (Ascient Egypt) অবদান লক্ষণীয়। মিশরীয়দের লেখার পদ্ধতি, সাহিত্য, শিল্প, স্থাপত্য, ধর্ম, বিজ্ঞান বিশ্ববাসীকে ভ্রু তুলতে বাধ্য করেছিল। আর মিশরীয়দের (Egyptians) কিছু কিছু সৃষ্টি আজ ও সমানভাবে ব্যবহার করে চলেছে গোটা বিশ্ব।
মিশরীয়দের মনের চিন্তা প্রকাশ করার জন্য, মিশরীয়রা লেখার শিল্প আবিষ্কার করেছিল। যদিও প্রথম থেকেই তারা বর্ণমালার সাথে পরিচিত ছিল না, তারপরও তারা বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে তাদের ধারণা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছিল। সুতরাং, তাদের লেখা জনপ্রিয়ভাবে ‘হায়ারোগ্লিফি’ বা ‘পবিত্র লেখা’ নামে পরিচিত ছিল কারণ সেগুলি পুরোহিতদের দ্বারা লেখা হয়েছিল।
লেখালেখি ছিল মিশরীয়দের (Egyptians) একটি মহৎ আবিষ্কার। তারাই প্রথম কাগজ, কলম, কালির আবিষ্কার করেছিলো। প্রাচীন মিশরীয়রা (Egyptians) অমর সাহিত্য সৃষ্টি করেছিল। তারা জ্যোতিষশাস্ত্র, ধাতুবিদ্যা, বয়ন এবং রান্না সম্পর্কিত সাহিত্য রচনা করেছিলেন। এছাড়াও, তারা তাদের সাহিত্যে কিংবদন্তি, দুঃসাহসিক ঘটনা, রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, ধর্মীয় চিন্তা ইত্যাদি প্রতিফলিত করেছে।
মিশরীয় ক্যালেন্ডার মানব ইতিহাসের প্রথম নথিভুক্ত ঘটনা। প্রাচীন মিশরীয়রা (Egyptians) তাদের সময়ের খুব ভালো জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিল। মেঘহীন পরিষ্কার নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ, নীল নদের বন্যা, বীজ বপনের সময় ইত্যাদি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারত। তারা গ্রহ ও নক্ষত্রের গতিবিধিও জানতে পারত। তারা একটি ‘ক্যালেন্ডার’ তৈরি করেছিল।
প্রাচীন মিশরই (Ascient Egypt) প্রথম তালাচাবি উপহার দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। ৬ হাজার বছর আগে এই তালাচাবির ব্যবহার শিখিয়েছিল মিশর (Egypt)। সে সময় কাঠের তৈরি তালা তৈরি করে চমক দিয়েছিল তারা। পরবর্তীকালে অবশ্য সেই প্রাচীন তালাচাবি বদলে ধাতব তালাচাবির প্রচলন হয়। কিন্তু মিশর যে কাঠের তালা দেখিয়েছিল তা কিন্তু যথেষ্ট কার্যকরী ছিল।
সে সময় মিশরে (Egypt) এক গুঁড়ো জাতীয় মিশ্রণ ব্যবহারের প্রচলন ছিল। যা কার্যত মিশরীয়দের (Egyptians) দাঁত পরিস্কার করতে কাজে লাগত। সেটাই বিশ্বের প্রথম মাজন। তবে তা গুঁড়ো আকারে হত।