নিজস্ব প্রতিবেদন : আশ্রম সহ স্কুল ও মন্দিরের সামনে মদ পান করার প্রতিবাদ করায় এক সন্ন্যাসীর মুখে জোর করে মদ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ করলো দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটে। যদিও এই ঘটনায় ওই সন্ন্যাসী দুষ্কৃতীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার এই ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবা সংঘে। ওই আশ্রমের স্বামীজি বরুনানন্দ মহারাজের অভিযোগ, “বুধবার আশ্রম চত্বরে কয়েকজন যুবক বসে মদ খাচ্ছিলেন। তা দেখে আমি ওই সকল যুবকদের এখানে এই সকল নোংরা কাজ এবং জায়গা নোংরা করতে বারণ করি। তখনই ওই যুবকেরা আমার উপর চড়াও হয়। মারধর করার পাশাপাশি জোর করে আমার মুখে মদ ঢেলে দেওয়া হয়। আমি একাদশী ব্রত করেছিলাম, সেই একাদশী ব্রত ভঙ্গ হয়ে যায়।” ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
ঘটনার পরই ওই সন্ন্যাসী মৌখিকভাবে রামপুরহাট থানায় বিষয়টি জানান। এছাড়াও ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। সন্ন্যাসীর দাবি, একাধিকবার আশ্রমের সামনে এমন দুষ্কর্ম করতেন ওই সকল যুবক। আর বারংবার তাদের বারণ করায় এইভাবে চড়াও হয়েছেন ওই যুবকেরা। যদিও আবার পরমুহুর্তেই উদারতার পরিচয় দিয়েছেন ওই সন্ন্যাসী। বৃহস্পতিবার তিনি ওই যুবকদের ক্ষমা করে বলেছেন, “এবারের মত আমি তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছি। ওরা তো আমার ছেলের মত। কিন্তু দেখতে হবে আর যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে।”
তবে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতারা। পাশাপাশি তারা রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শানিয়েছেন। বিজেপি নেতা রাজু বিস্তা টুইট করে লিখেছেন, “আমি ভিডিয়োটা দেখে স্তম্ভিত ও মর্মাহত। বাংলায় তো রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামীজিরই কোনও নিরাপত্তা নেই। সাধারণ মানুষের কী অবস্থা তাহলে! বাংলায় #টিএমসিতালিবান রুল চলছে।”
I am shocked and heartbroken to see this video.
Today a Swami of Ramkrishna Math is not safe in Bengal. Imagine how unsafe common people are.
This is what #TMCTaliban rule in Bengal looks like. pic.twitter.com/bANjl0UGOG
— Raju Bista (@RajuBistaBJP) August 19, 2021
অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা রামপুরহাট পৌরসভার প্রশাসক মীনাক্ষী ভকত জানিয়েছেন, “আশ্রম চত্বরে খুব শীঘ্র সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা থানায় জানিয়েছি। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”