চাঁদে কি আদৌ গিয়েছিলেন আমস্ট্রংরা! নাকি পুরোটাই ভাঁওতা! সামনে এলো কালো সত্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান অবতরণ করানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছে। ভারতকে এমন কৃতিত্ব এনে দিয়েছে ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) নিজেদের কাজ সেরে ফেলেছে এবং ঘুমিয়ে পড়েছে। আর এই সাফল্যের মাঝেই উঠে আসছে নীল আর্মস্ট্রংদের (Neil Armstrong) চাঁদে অবতরণ নিয়ে নানান প্রশ্ন।

ভারত যখন ২০২৩ সালে প্রথম চাঁদে চন্দ্রযান অবতরণ করাতে সক্ষম হল, সেই জায়গায় ১৯৬৯ সালে আমেরিকার নাসা প্রথম এই উপগ্রহের মানুষকে পাঠিয়েছিল এবং সেখান থেকে সফলভাবে তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তবে আমেরিকার এই দাবি অনেকেই রয়েছেন যারা কোনভাবেই মেনে নিতে চান নি এবং চাইছেন না। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এমনকি চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠানো ডাহা মিথ্যা বলেও তারা দাবি করেন। তাদের এই দাবির পিছনে একাধিক যুক্তি তাদের পেশ করতে দেখা যায়। কন্সপিরেসি থিয়োরির প্রবক্তাদের তরফ থেকে একাধিক যুক্তি পেশ করে পৃথিবীতে বহু বিখ্যাত ও আলোচিত ঘটনা তথা ইতিহাসকে নস্যাৎ করা হয়েছে। তাদের দাবি চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠানো হলিউড সিনেমার মতো কারসাজি ছাড়া আর কিছু নয়। তাদের তরফ থেকে কি কি দাবি তোলা হয়?

১) অ্যাপেলো ১১ মিশনের অন্যতম আইকনিক ছবি হল বাজ অলড্রিন চন্দ্রপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে আমেরিকার পতাকার সামনে স্যালুট করছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে আমেরিকার পতাকা হাওয়াই নড়ছে। প্রশ্ন হল চাঁদে যেখানে হাওয়া বাতাস পিছনে সেখানে পতাকা নড়ে কিভাবে? এক্ষেত্রে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সেই সময় স্পেস রেসে এগিয়ে থাকার জন্য এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

২) অ্যাপেলো ১১ মিশনের যে সকল ছবি প্রকাশ করা হয় সেই সকল কোন ছবিতেই আকাশে তারা লক্ষ্য করা যায়নি। চাঁদে যেহেতু হাওয়া নেই তাই মেঘের বিচরণ থাকবে না। এক্ষেত্রে এখনো এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে কেন কোন ছবিতে আকাশের গ্রহ নক্ষত্র দেখা গেল না।

৩) সবচেয়ে বড় একটি যুক্তি হলো, অ্যাপেল ১১ এর যে সকল ছবি প্রকাশ করা হয় তাদের মধ্যে অনেক ছবিতে চাঁদের মাটিতে ছায়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই ছায়া বিভিন্নভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছে। এইরকম বিভিন্নভাবে ছায়া তখনই লক্ষ্য করা যায় যখন কোন গ্রহ বা উপগ্রহের আলোর উৎস একাধিক থাকে। কিন্তু চাঁদের আলোর উৎস একমাত্র সূর্য। সেক্ষেত্রে ছায়ার এমন বিভিন্নতা থাকা অসম্ভব বলেই দাবি করা হয়।

৪) নাসার দাবি অনুযায়ী চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। নীল আমস্ট্রং যখন চাঁদের মাটিতে নামছেন সেই সময় বাজ অল্ড্রিন ছিলেন মডিউল ঈগলের মধ্যে। আবার তৃতীয় নভচর মাইকেল কলিন্স ছিলেন কলম্বিয়ার ভিতর। তাহলে নীল আমস্ট্রংয়ের চাঁদের মাটিতে নামার ভিডিও এবং ছবি চাঁদের মাটি থেকে কে তুলল? কেননা নিশ্চয়ই এর আগে চাঁদের মাটিতে ক্যামেরা পাঠানো হয়নি বা বসানো ছিল না।

৫) যুক্তিবাদীদের আরও একটি বড় দাবি হল, যদি নাসা চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠিয়ে এই ধরনের রেকর্ড তৈরি করেছে তাহলে গত কয়েক বছরে কেন তারা আর চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠাচ্ছে না? যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির এই ঠান্ডা লড়াই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে এবং আগামী দিনেও তা চলবে। তবে নেশার চাঁদের মাটিতে মানুষের অবতরণ করানোর রহস্য কবে উদঘাটন হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।