Get more benefits than FD in various post office Schemes: বর্তমান বাজারে মানুষ যদি কোনো খাতে বিনিয়োগ করতে চায় সেক্ষেত্রে বহু বিকল্প উপায় রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন রকম ঝুঁকি নিতে চায় না। সবাই চায় ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চিত অর্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে এবং রিটার্নও ভাল আসে। বহু মানুষ পোস্ট অফিসের স্কিমগুলিতে (Post office schemes) বিনিয়োগ করতে চায় কারণ এতে সুদের হার ভালো পাওয়া যায়। অন্যদিকে বহু ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থার পক্ষ থেকে অফার করা ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি) প্রকল্পকেও বহু মানুষ বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট এর থেকেও পোস্ট অফিসে এমন কতগুলো স্কিম রয়েছে যা দিচ্ছে বাড়তি সুবিধা এবং ভালো সুদের হার। এছাড়াও সরকারের গ্যারান্টি থাকার জন্য এতে থাকছে বাড়তি সুরক্ষা, যার ফলে বিনিয়োগকারী আর কোন চিন্তার কারণ নেই। তাহলে এই পোস্ট অফিসের পাঁচটি বিনিয়োগ প্রকল্প সম্পর্কে জানা যাক।
আপনি চাইলে বিনিয়োগ করতে পারেন পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে (Post office schemes)। এটি সম্পূর্ণ এফডির মতোই একটি সঞ্চয় প্রকল্প। বিনিয়োগকারীরা চোখ বন্ধ করে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন কারণ এখানে রয়েছে সরকারের গ্যারান্টি। পোস্ট অফিসের এই নয়া সিনে আপনি পেয়ে যাবেন ৫ বছরের জন্য ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ। যদি আপনি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন তাহলে আয়করের ধারা 80C এর অধীনে ১.৫ লাখ টাকার ছাড় পাবেন।
পোস্ট অফিস নিয়ে এসেছে প্রবীণ মানুষদের জন্য একটি দুর্দান্ত স্কিম। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (Post office schemes) অনুযায়ী সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করতে পারবেন ১০০০ টাকা এবং ১৫ লাখ টাকা। এই পলিসিতে একটি অতিরিক্ত পাঁচ বছরের মেয়াদ আছে যা আপনি চাইলেই তিন বছর বাড়াতে পারেন। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবে ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা এবং এতে সুদের হার হলো ৮.২ শতাংশ।
এই তালিকায় আছে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (Post office schemes)। এই অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনার শিশুকন্যার নামে অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন। কন্যা ১৮ বছর বয়স হলে তখন এই অ্যাকাউন্টের টাকার মালিকানা পাবে। এই স্কিমের দ্বারা সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি আছে। এই প্ল্যানটি ধারা 80C এর অধীনে কর ছাড় দেয়। আপনি ৮ শতাংশ সুদ পেতে পারেন। এছাড়াও পোস্ট অফিসের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিম হলো ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিম। দেশের বহু মানুষ এই দিনে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। আপনি এখানে সুদের হার পাবেন ৭.৭ শতাংশ। এখানে কর ছাড়ের মতো বাড়তি সুবিধা গ্রাহকরা পেয়ে থাকে।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড হলো গ্রাহকদের কাছে একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা। এখানে মূলত বেতনভোগী বিনিয়োগকারীরা নিজেদের বেতনের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা সুদ এবং রিটার্ন দুটোই ভালো পান। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের গ্যারান্টি রয়েছে, তাই অর্থ নিয়ে কোন রকম দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন সব রকম অর্থ এই খাতে বিনিয়োগ করা যায়। এখানে অর্থ বিনিয়োগ করলে আপনি কর ছাড়েন সুবিধা পাবেন।