নিজস্ব প্রতিবেদন : ৫২ দিনের নিরন্তন লড়াই অবশেষে শেষ হল শুক্রবার। এদিন দুপুর একটা নাগাদ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি আগস্ট মাসের ৫ তারিখ থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আর এর এক মাস পর সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখ তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু এই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকার কারণে তাকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়নি। ভেন্টিলেটরের পাশাপাশি তাকে একমো সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এত চেষ্টা সত্ত্বেও জনপ্রিয় এই সঙ্গীত শিল্পীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব হলো না। আর তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে সঙ্গীত জগৎ।
কিছুদিন আগেই মনে করা হচ্ছিল এই সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে। তাঁর ছেলে এস পি চরণ টুইট করে জানিয়েছিলেন তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। আর এই টুইট ঘিরে যখন দেশের মানুষ আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন ঠিক সে সময় এমন দুঃসংবাদ এসে পৌঁছালো। হাসপাতালের মেডিকেল বুলেটিনে জানানো হলো তিনি আর নেই।
এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম ১৯৪৬ সালের ৪ জুন চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এরপর একটি তেলেগু সিনেমা ‘শ্রী শ্রী মর্যাদা রামান্না’ তে ১৯৬৬ সালে গান গিয়ে তার সংগীত জগতে পা দেওয়া। আর তারপরেই একের পর এক হিন্দি, তামিল, তেলেগু ইত্যাদি সিনেমাতে গান গেয়ে রেকর্ড তৈরি করা। একদিনে ২১টি গান রেকর্ড করার মতো রেকর্ড রয়েছে তার ঝুলিতে। তাঁর হাত ধরেই বলিউডে পা রেখেছিলেন সলমন খান।
সলমন খানের নায়ক হিসেবে বলিউডে পা রাখা ১৯৮৯ সালের ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির মধ্য দিয়ে। এই ছবিতে সলমনের গলায় প্রত্যেকটি গান গেয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বালসুব্রহ্মণ্যম। আর এই সিনেমার প্রতিটি গানই মন কেড়ে ছিল দর্শকদের। এর পাশাপাশি সলমন খানের আরও একটি সিনেমা ১৯৯১ সালের ‘পাত্থর কে ফুল’-এও সলমনের গলায় সাতটি গান গেয়েছিলেন বালসুব্রহ্মণ্যম। পরবর্তীকালে ‘সাজন’ সিনেমাতেও বালসুব্রহ্মণ্যমের গাওয়া গানগুলি সুপার ডুপার হিট হয়। যদিও পরবর্তীকালে এই দুজনের জুটি ভেঙে যায় কোন বিশেষ কারণে।
https://youtu.be/LUJjB99TU7E
https://youtu.be/u9wlIiXfcV0
এস পি বালসুব্রহ্মণ্যমের যে গানগুলি এখনো চিরভাস্বর হয়ে আছে সেই গানগুলির মধ্যে অন্যতম হলো আতে যাতে, দিল দিওয়ানা, মেরে রঙ্গ মে, কভি তু ছালিয়া লগতা হ্যায়, তুমসে জো দেখতে হি প্যায়ার হুয়া, বহুত প্যায়ার করতে হ্যায়, তুমসে মিলনে কি তমন্না হ্যায়, পহেলি বার মিলে হ্যায় ইত্যাদি।