IAS: মা নেই, বাবা রিকশা চালক, সেই ছেলেই আজ IAS অফিসার

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Rickshaw driver’s son cleared UPSC and became an IAS officer: সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে একটি উচ্চ পদে দেখার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। তবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো একেবারেই সহজ কথা নয়। আইপিএস বা আইএএস (IAS) অফিসার হতে গেলে করতে হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। পরিশ্রম করেও হয়তো বারবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয়। ক্রমাগত ব্যর্থতায় অনেকেই হয়তো তলিয়ে যান হতাশার অন্ধকারে। কিন্তু ছাড়া ব্যর্থতা সত্ত্বেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের জীবনকে আশা আকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ করে তুলতে চান তাদেরই মেলে কাঙ্খিত সাফল্য। সেই প্রতিবেদনের মাধ্যমে এমনই একজন ব্যক্তির কথা আপনাদের জানাবো নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও যিনি পেরেছেন এই সফলতার সীমা অতিক্রম করতে।

Advertisements

UPSC পরীক্ষায় সফলতা লাভ করে যিনি আইএএস অফিসার গ্রুপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন, অর্থাৎ যার কথা আজ এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব তিনি হলেন IAS অফিসার (IAS) গোবিন্দ জয়সওয়াল। তবে তার আইএএস অফিসার হওয়ার পিছনে জড়িয়ে আছে তার বাবার দীর্ঘ প্রচেষ্টা, যে কথা শুনলে চোখে জল আসতে বাধ্য। প্রতিটি বাবাই চান তার সন্তান মানুষ হিসেবে যোগ্য হয়ে উঠুক এবং মাঝে ক্ষেত্রে উচ্চ স্তর লাভ করুক। IAS অফিসার গোবিন্দ জয়সওয়াল এর বাবাও তার অন্যথা করেননি। তার এক বড় ত্যাগেই তার সন্তান আজ একজন IAS অফিসার।

Advertisements

IAS অফিসার গোবিন্দ জয়সওয়াল এর বাবার নাম নারায়ণ জয়সওয়াল। তার ছেলে UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করার সময় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছেলের সাফল্যকে সুনিশ্চিত করতে এবং ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে গেছেন তিনি। অর্থ উপার্জনের জন্য করেছেন কঠোর পরিশ্রম। একদিকে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে অর্থের যোগান দিয়েছেন এবং অন্য দিকে তার ছেলে পরিশ্রম করেছেন পড়াশোনার ক্ষেত্রে। পিতার বিভিন্ন ত্যাগ স্বীকারের পাশাপাশি তিনি ও সমান তালে লড়ে গেছেন।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Taxi Driver: ইচ্ছেটাই আসল, ট্যাক্সি চালিয়ে দুটি স্কুল গড়ে সেটাই প্রমাণ করলেন জালালুদ্দিন বাবু

তারা সপরিবারে থাকতেন উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে। জানা যায় ১৯৯৫ সালে গোবিন্দের বাবা নারায়ণের মত ৩৫টি রিকশা ছিল। সে সময় কোনো আর্থিক অনটন তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করেনি। কিন্তু স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার খরচ চালাতে তাকে ২০টি রিকশা বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৫ সালে মারা যান তার স্ত্রী। এরপর ছেলেকে নিজে একাই লড়াই করে গেছেন নারায়ণবাবু। গোবিন্দ UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য ২০০৪-২০০৫ সাল নাগাদ দিল্লিতে পড়াশোনা করতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। তবে ছেলের স্বপ্ন পূরণে তিনি আরো ১৪টি রিকশা বিক্রি করেন এবং অবশিষ্ট একটি নিজেই চালাতে শুরু করেন।

অবশেষে ২০০৬ সালের প্রথমবারের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন গোবিন্দ জয়সওয়াল। প্রথম বার পরীক্ষা দিয়েই অসামান্য সাফল্য লাভ করেছিলেন তিনি, যা ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে এক অনুপ্রেরণা স্বরূপ বলা চলে। প্রথম বারের পরীক্ষায় গোবিন্দ সর্বভারতীয় স্তরে ৪৮ স্থান অর্জন করেন। পিতার স্বপ্ন এবং ত্যাগ স্বীকারকে সফল করেন বর্তমান IAS অফিসার (IPS) গোবিন্দ জয়সওয়াল।

Advertisements