নিজস্ব প্রতিবেদন : বাইরে কোথাও বেরোনোর সময় আজকাল মানুষ পকেটমারের ভয় নগদ অর্থ নিয়ে চলাচল করেনা বরং তার পরিবর্তে এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও থেকে যায় হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়, তারপর আবার এটিএম স্কিমিং। এরকম পরিস্থিতিতে জাতীয় পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই), ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই) এর দ্বারা টাকা তোলার ব্যবস্থা করেছে, যার ফলে টাকা তোলা হবে সহজ এবং এর ফলে প্রয়োজনে কমবে কার্ডের ব্যবহার।
এন্ড-টু-এন্ড নগদ এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সলিউশন প্রোভাইডার এজিএস ট্রান্সট্যাক্ট টেকনোলজিসের সাথে সহযোগিতা করে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে, যাতে ইউপিআইয়ের দ্বারা মানুষ টাকা তুলতে পারেন। তবে শুধু এই ব্যাঙ্কেই না বরং অন্যান্য ব্যাঙ্কেও এই পদ্ধতির চালু করতে এজিএস লেনদেনের আলোচনা ইতিমধ্যেই চলছে।
এনপিসিআই ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-এজিএসের বিষয়টা সুস্থভাবে কার্যকরভাবে করার জন্য নিজেদের মধ্যেই একটি কমিটিও গঠন করেছে।
এই বিষয়টি কার্যকর হওয়ার পর গ্রাহকরা এটিএমের থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে ইউপিআই লেনদেনের মতো একটি QR কোড স্ক্যান করে ঝামেলামুক্ত ভাবেই টাকা তুলতে পারবেন। কার্ডের কোনরকম ঝঞ্ঝাট ছাড়াই কেবল একটি স্মার্টফোন ও ইউপিআই কোডের মাধ্যমে সহজভাবে তারা টাকা তুলতে পারবেন।
কিছু গ্রাহক নগদ টাকা তোলার জন্য তাদের আধার কার্ড ব্যবহার করেন, যাতে ১২ অঙ্কের আধার নাম্বার ও পিন ব্যবহার করে তারা টাকা তুলতে পারেন, তবে প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল। ইউপিআই ব্যবহার করে টাকা তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা কেবলমাত্র একটি কোড স্ক্যান করে নগদ টাকা তুলতে পারবেন।
গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এনপিসিআই ভারতের আয়কর (আইটি) বিভাগের সাথে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছে ইউপিআই ব্যবহার করে করের অর্থ প্রদানের জন্যও। এগুলি ছাড়াও, আয়কর বিভাগ এই নির্দিষ্ট আইটি প্রদানের জন্য অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতি, যেমন ডিজিটাল ওয়ালেট এবং ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির বিষয় জোড় দিচ্ছে।
অক্টোবরে ২০১৯ পর্যন্ত ইউপিআইয়ে ১ বিলিয়ন লেনদেনের লক্ষ্য অতিক্রম করেছে। নভেম্বরে একটি প্রতিবেদনে এনপিসিআই এই কথা জানায় যে, ইউপিআই নভেম্বর মাসের জন্য ১.২২ বিলিয়ন লেনদেনে পৌঁছেছে।