নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে গত ছয় মাস ধরে রাজ্যে বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন (Local Train) পরিষেবা। অবশেষে ৩১ অক্টোবর থেকে পুনরায় এই লোকাল ট্রেন পরিষেবা সচল হয় রাজ্যজুড়ে। তবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছিল ৫০% যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র!
বাস্তবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হতেই সেই আগের ছবি ধরা পড়ে। ট্রেনে ভিড়ে গিজগিজ করছেন যাত্রী। এই ভিড়ে ভিড়ে জেরবার হয়ে পড়েছে রেল দপ্তর (Rail Board)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে বেশকিছু রুটে ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মূলত এমন লাগামছাড়া ভিড়কে নাগালে আনতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।
জানা যাচ্ছে, বর্তমানে হাওড়া খড়গপুর রুটে যে সংখ্যক ট্রেন চলছে তার পরেও আরও ৪০টি লোকাল ট্রেন রুটে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে ৪৮টি লোকাল ট্রেন দিয়ে পরিষেবা শুরু করেছিল, তারা আরও ৫৬টি ট্রেন রুটে নামাচ্ছে। ৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের মোট ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৪ এবং পরে সেই সংখ্যাটা ধীরে ধীরে দাঁড়াবে ১৪৭।
মেদিনীপুর থেকে হাওড়া এবং হাওড়া থেকে মেদিনীপুর আপ ও ডাউন লাইনে মোট ২৭টি ট্রেন চালানো হবে। বর্তমানে এই রুটে ট্রেন চলছে ১৩টি। অন্যদিকে হাওড়া থেকে খড়গপুর রুটে আরও ১৩টি লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব মিলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই খড়গপুর শাখায় ৪০টি লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে।
PASSENGERS TO NOTE:#RailParivar pic.twitter.com/UxdQO6tAp1
— South Eastern Railway (@serailwaykol) November 2, 2021
PASSENGERS TO NOTE:#RailParivar pic.twitter.com/3uMO3saZ0q
— South Eastern Railway (@serailwaykol) November 2, 2021
অন্যদিকে অধিকাংশ রুটে লোকাল ট্রেন চালু করা হলেও এখনও বেশ কিছু রয়েছে যেগুলিতে ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম শাখা। এছাড়াও এখনো পর্যন্ত কোন লোকাল ট্রেন চালু হয়নি রামপুরহাট থেকে সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে। ইতিমধ্যেই এই রুটে কোন ট্রেন চালু না হওয়ার দরুন স্থানীয় বাসিন্দারা বুধবার একটি ডেপুটেশন জমাতেন রাজগ্রাম রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারকে।