নিজস্ব প্রতিবেদন : শোভন বৈশাখী রত্না, এই তিনের দ্বন্দ্ব থামারই নাম নেই। থামা তো দূরের কথা বরং সম্প্রতি বৈশাখী ব্যানার্জি তার ফেসবুক প্রোফাইলে এমন কিছু ছবি এবং ভিডিও আপলোড করেছেন যাতে এই ঘটনা নতুন মোড় নিলো তা বলাই অবশ্যম্ভাবী।
শনিবার বৈশাখী ব্যানার্জি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় রত্নার বেশ কিছু ছবি আপলোড করেন। ছবি আপলোড করার পাশাপাশি একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বৈশাখী ব্যানার্জি একেবারে সঞ্চালিকার ভূমিকায় বসে রয়েছেন এবং শোভন চ্যাটার্জি বক্তার ভূমিকায় তার সাথে রত্নার এমন সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণ বর্ণনা দিচ্ছেন।
বৈশাখী ব্যানার্জির প্রোফাইল থেকে আপলোড হওয়া ওই ভিডিওতে শোভন চ্যাটার্জি দাবি করেছেন, “রত্না চ্যাটার্জী সাথে অন্য এক যুবকের সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলাম আমি। রত্না একজন ব্যভিচারী মহিলা। যে কারনেই আমি ডিভোর্সের পথ বেছে নিয়েছি। আমার সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল তা আমি জানি।”
শোভন চ্যাটার্জি আরও অভিযোগ করেন, “রত্না সম্পর্কে আমি সব কথা জেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম। উনি আমাকে বাড়ি ছেড়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আনুগত্য রয়েছে যে কারনেই আমি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করি।”
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি শোভন চ্যাটার্জি রত্না চ্যাটার্জী বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, “আমার কত কত টাকার সম্পত্তি রত্না এবং তার পরিবার হাতিয়েছে নষ্ট করছে তার কোনো হিসাব নাই। আমি জীবনে বেঁচে থাকতে রত্নার কাছে টাকা চাইতে যাবো না।” পাশাপাশি তিনি রত্নাকে সুরাসক্ত ভুলেও অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে যেদিন সিবিআই শোভন চ্যাটার্জিকে গ্রেপ্তার করে সেই দিন রত্না চ্যাটার্জীর নিজাম প্যালেসে যাওয়াকে বৈশাখী ব্যানার্জি কটাক্ষ করে বলেন, “নিজাম প্যালেসে দিয়ে নিজেকে ‘শ্রীময়ী’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন রত্না। আর আমাকে ‘জুন আন্টি’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।”
যদিও এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রত্না চ্যাটার্জী দাবি করেছেন, “দলের কর্মীদের সাথে আমার বসে থাকার ছবি প্রকাশ করে আমার নামে কলঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সকলকে জিজ্ঞেস করলেই বোঝা যাবে তারা কারা। আসলে শোভন-বৈশাখী প্রেমলীলা চালাচ্ছেন, আর তা দেখে অন্যান্যরা নিন্দা করছেন। তার জন্যই তারা দুজনে নতুন চাল চলছে।”