নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার দিনভর নাটকীয় মোড় নেয় নারদ কান্ড। সাতসকালে গ্রেফতার দুই মন্ত্রী সহ তৃণমূলের এক বিধায়ক এবং এক হেভিওয়েট। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে জামিন পান। তবে হাইকোর্টের এই জামিনের উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়। যার পরই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।
আর এই প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার আগে ফিরহাদ হাকিম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি সিবিআইয়ের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করিনি! কেন আমার জামিনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। এবার হয়তো ইডি দিয়ে গ্রেপ্তার করাবে। আমাকে করোনা মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে যাতে কারোর কোনও অসুবিধা না হয়, সকলে যাতে টিকা পায় আমার কাজ ছিল সব দিকে নজর রাখার। কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আমাকে বাঁচাতে দিলো না।’ অন্যদিকে তখন মদন মিত্রের গলায় শোনা গেল ক্ষোভের সুর। ক্ষুব্দ হয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘আমরাই খারাপ। শুভেন্দু-মুকুল ভালো।’
[aaroporuntag]
আর এসবের পর যখন রাত ১:১০ নাগাদ তাদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ভোর রাতে প্রায় ৩:৪০ নাগাদ এই তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই তাদের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা শুরু হয়। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা এখনো ওখানেই চলছে। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে পুনরায় প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরিয়ে আনা হয়।