‘চার বছরে এতটা পাগল’, শোভনকে পাগল বললেন ছেলে ঋষি

SHARMISTHA CHATTERJEE

Published on:

Advertisements

শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : আসন্ন কলকাতা পুরসভার ভোট। তার জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার তুঙ্গে। তার মাঝেই বিস্ফোরক মন্তব্য শোভন পুত্র ঋষির। ১৯ ডিসেম্বরের কলকাতা পুরোভোটে এবার সবার নজর ১৩১ নং ওয়ার্ডের দিকে। কারণ দীর্ঘকালের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ময়দানে নেমেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। ফলে কি হয় ভোটের ফল সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। তার মাঝেই বাবা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে কি মন্তব্য করলেন পুত্র ঋষি।

Advertisements

Advertisements

একের পর এক নয়া চমক শোভন ও বৈশাখীর জীবনে আসতেই থাকে। কিছুদিন আগেই সর্বসমক্ষে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঁদুর পড়িয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। তবে এবার তিনি রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সাথে দ্বন্দ্বের যোগ্য জবাব দিতে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিলেন।

Advertisements

ফেসবুকে তিনি এক পোস্টের মাধ্যমে লেখেন, তাঁর তিন সন্তান, সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়, সুহানী চট্টোপাধ্যায়, রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কথার জবাব দিতে বাবার সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ছেলে ঋষি। তিনি বলেন, তাঁর বাবা যখন এত বছর পর তাঁর আরও একটি সন্তান আছে দাবি করেছেন তাহলে এবার DNA টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে। সিঁদুর পরানোর প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ চার বছরে তার বাবা পাগল, উন্মাদে পরিণত হয়েছে সম্পূর্ণভাবে।

অপরদিকে এবারের কলকাতার পুরভোটে রত্না চট্টোপাধ্যায় ১৩১ নং ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। পূর্বে এই ওয়ার্ড থেকেই একসময় শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রত্নাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে ছেলে ঋষি বাবাকে এক হাত নিয়েছেন। বাবার সম্পর্কে সমস্ত রাগ তিনি উগরে দিয়েছেন, ২০১৭ সালের পরবর্তী সময়ে একা হাতে তার মা অর্থাৎ রত্না চট্টোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন তার এক শতাংশও শোভন চট্টোপাধ্যায় করেননি। তাই ১৩১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থীপদ যে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রাপ্য তাই তিনি তুলে ধরেছেন। ছেলে হিসেবে মায়ের পাশে থাকার গুরুদায়িত্ব পালন করছে ঋষি।

ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবেও কিন্তু ছেলে মাকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে রেখেছে তাঁর মতে শোভন বাবু চলে যাওয়ার পর থেকেই রত্না দেবী একা হাতে সমস্ত লড়াইটা লড়ে গিয়েছেন। ফলে একজন মানুষ কতটা প্রতিকূলতার সাথে লড়েছেন সেই হিসেবে কাউন্সিলর হিসেবে মা কেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

১৯ ডিসেম্বরের ভোটের আগে ছেলে যে মায়ের পাশে থেকে প্রচার চালাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য মা রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর এক অন্য বহিঃপ্রকাশ। তবে ভোটের ফল কি বলে দেখা যাক! সাধারণ মানুষের মন রত্না চট্টোপাধ্যায় জিতে নিতে পারেন না পারেন না।

Advertisements