Bank Loans: ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে ছুটতে পারে কালঘাম! বাজে পরিস্থিতি এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংস

Prosun Kanti Das

Published on:

S&P Global Ratings Deteriorate May Decline Bank Loans in this Fiscal Year: সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থ বর্ষে ব্যাংক থেকে ঋণ দেবার পরিমাণ অনেকটাই কমে যেতে পারে। ফলে নতুন করে লোন (Bank Loans) নিতে গেলে সমস্যার পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। গত অর্থবর্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে পরিমাণে অর্থ ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, সেই পরিমাণ অর্থ জমা পড়েনি ব্যাংকে তাই চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে নতুন করে দেওয়া ঋণের পরিমাণ কমাতে বাধ্য হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি।

লোন (Bank Loans) সংক্রান্ত এই তথ্য জানা গেছে এশিয়া স্পেসিফিক ২ কিউ ২০২৪ ব্যাঙ্কিং আপডেটেড রিপোর্ট থেকে। এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের ডিরেক্টর নিকিতা আনন্দ সরাসরি জানিয়েছেন, ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে বিশেষ করে খুচরো আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে ব্যাংকের তরফ থেকে নতুন করে লোন দেওয়া সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ব্যাংক থেকে পাওয়া লোনের পরিমাণ ১৬ শতাংশ থেকে কমে ১৪ শতাংশে এসে দাঁড়াতে পারে।

আমানত জমা হওয়া এবং ব্যাংক থেকে লোন দেওয়ার পরিমাণ এর মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করা যাচ্ছে না। নিকিতা আনন্দের মতে, প্রত্যেকটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে আমানত জমা পরার তুলনায় ব্যাংক লোনের পরিমাণ ২ থেকে ৩ শতাংশ বেশি হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি ব্যাংকগুলি লোন (Bank Loans) দেবার পরিমাণ না কমায়, তাহলে বাইরে থেকে বেশি সুদে আমানত জোগাড় করতে হবে তাদের। বিষয়টি ব্যাংকগুলির পক্ষে বেশ সমস্যা জনক হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া ব্যাংক আয়ের দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারে। লোন দেওয়া এবং অর্থ জমা পরার মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল লোন দেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলা।

আরও পড়ুন 👉 Home Loan: এই ৫ ব্যাঙ্ক, যেখানে মিলতে পারে সবচেয়ে সস্তায় হোম লোন

বেসরকারি ব্যাংক থেকে বেশিরভাগ লোন (Bank Loans) দেওয়া হয়। বেসরকারি ব্যাংকের লোন দেওয়ার পরিমাণ যত বাড়ে তার উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর লোন দেবার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঋণ দেবার পরিমাণ ১৭ থেকে ১৮% বৃদ্ধি পেলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় ঋণ দেবার পরিমাণ। এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিংস এর ওয়েবিনারে ডিরেক্টর নিকিতা আনান্দ আরো বলেন যে, ব্যাঙ্কগুলি যদি নতুন করে মূলধন জোগাড় করার চেষ্টা না করে, তাহলে ৩ বছরের মধ্যে ১৫ থেকে ২০% লোন দেওয়া যাবে ব্যাংক থেকে।

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ব্যাংকে নতুন আমানত জমা রাখার পরিমাণ জিডিপির প্রায় সমতুল্য। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ জিডিপির চেয়ে ১.৫ গুণ বেশি। এমনই তথ্য সামনে এসেছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিং ওয়েবিনারে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে। ভারতীয় অর্থনীতির ভালো ফলাফলের কারণে ব্যাংকের মুনাফা, লোন দেবার পরিমাণ এবং অনাদায়ী অর্থের পরিমাণ ভালো ফল করতে পারে।