অত্যাধুনিক লোকাল ট্রেনের যাত্রা শুরু হলো বাংলায়, রয়েছে এই সকল বিশেষ সুবিধা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকাল ট্রেন মানেই ঠাসাঠাসি ভিড়ে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। তবে এই ঠাসাঠাসি ভিড় এড়াতে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে অত্যাধুনিক এক লোকাল ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অত্যাধুনিক কোচযুক্ত এই সকল লোকাল ট্রেনে ৩০ শতাংশ বেশি যাত্রী নিয়ে যাত্রা সম্ভব। মঙ্গলবার থেকে এই অত্যাধুনিক কোচযুক্ত লোকাল ট্রেন প্রথম যাত্রা শুরু করলো পশ্চিমবঙ্গে।

অত্যাধুনিক এই লোকাল ট্রেনের সূচনা হল বারাকপুর থেকে লালগোলা রুটে। এই ট্রেনের সূচনা করলেন রানাঘাট এবং বারাকপুরের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও অর্জুন সিং। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি।

অত্যাধুনিক এই লোকাল ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছে পাঞ্জাবের কাপুরথালাতে। সেখানেই তৈরি হওয়ার পরই প্রথম একটি রেক আসে শিয়ালদহে। পূর্ব রেলের তরফ থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয় নতুন এই লোকাল ট্রেনটি ব্যারাকপুর রানাঘাট লালগোলার মধ্যে চালানোর। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এদিন এই ট্রেনের উদ্বোধন করা হলো।

যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এই লোকাল ট্রেনটিতে রয়েছে গদিওয়ালা সিট, বায়ো টয়লেট, সুরক্ষার জন্য প্রতিটি কোচে রয়েছে চারটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা, প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশনের সিস্টেমের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সুরক্ষায়।

এছাড়াও এই অত্যাধুনিক ট্রেন সম্পূর্ণ স্টেনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি। এতে রয়েছে কাচের জানলা, দরজা, যা কোচের বডির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইলেকট্রিক কন্ট্রোল সিস্টেম তৈরি হয়েছে নেদারল্যান্ডে। এই ট্রেনে চালকের বসার জন্য রয়েছে ব্যবস্থা এবং খুঁটিনাটি তথ্য পেতে রয়েছে ডিজিটাল মিটার। এছাড়াও চালকের কোচে রয়েছে ব্ল্যাক বক্স। পাশাপাশি চালকের কোচ সম্পূর্ণ বাতানুকূল।

যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেনটি কোন রকম বিপদের সংকেত পেলেই ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গতি কমিয়ে ফেলবে। ১১ কামরার এই লোকাল ট্রেনটি দেখতে অনেকটা কলকাতার মেট্রো রেকের মত।